মদের দাম চাওয়ায় বারে ভাঙচুর ছাত্রলীগ নেতার, ছাড়া পেলেন মুচলেকা দিয়ে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৬:০১ PM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ০৬:২৩ PM
মদপানের পর তার দাম চাওয়ায় রাজশাহীর একটি বারে হামলা ও ভাঙচুর করে মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ হৃদয়সহ তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। পরে ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে ক্ষতিপূরণ ও মুচলেকা দিয়ে অবরুদ্ধ নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে আনে।
সেই পর্যটন বারের এক কর্মচারী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার পরে ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ হৃদয়ের সঙ্গে ১২-১৩ জন নেতাকর্মী বারে যান। এরপর তাঁরা মদ খাওয়া শুরু করেন। তাদের সর্বমোট ৭ হাজার ২০০ টাকা বিল হয় যা চাইতে গেলে হৃদয় ছাত্রলীগের পরিচয় দেন এবং বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান। বিষয়টি নিয়ে বাক-বিতন্ড শুরু হলে হৃদয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দুজন কর্মচারীকে মারধর করে। কর্মচারীরা পুলিশে ফোন করার চেষ্টা করলে দুটি মোবাইল ফোন কেড়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
এরপর বারের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আটক করে রাখা হয়। পরে সেখানে পুলিশ যায়। ঘটনা জানতে পেরে রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাবিল হাসানসহ কয়েকজন নেতা সেখানে যান। এরপর ক্ষমা চান এবং ভুল স্বীকার করেন। তারা সেখানেই ভেঙে ফেলা কয়েকটি গ্লাসের ক্ষতিপূরণ দেন। তারপর মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন:ছাত্রলীগে পদ পেতে দিতে হল পরীক্ষা
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাবিল হাসান বলেন, আমি বাইরেই ছিলাম। কর্মচারীদের সেভাবে মারধর করেনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সামান্য কিছু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে দুটি মোবাইল ভেঙে যাওয়ায় সেগুলো আমরাই মেরামত করে দিচ্ছি। আর যা ক্ষতি হয়েছে সেগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এরপর মুচলেকা দিলে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দিয়েছে।
রাজশাহী পর্যটন মোটেল বারের ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অনেকেই মদ পানের পর মাতলামি করেন। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও এমনটিই করেছেন। তারা বেশ কিছু ক্ষতি করেছেন। ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড হবে না, মর্মে পুলিশের কাছে মুচলেকা দেওয়ায় তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।
নগরীর রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল নন্দী বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষমা চেয়েছেন, ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন। তাই বার কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ দেয়নি। এজন্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।