যশোরে মৌসুমের সর্বোচ্চ দাবদাহ, তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

  © সংগৃহীত

যশোরে কয়েক দিন ধরে বয়ে চলা তীব্র দাবদাহ আজ (শুক্রবার) চরমে পৌঁছেছে। দুপুর ৩টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস জানায়, এদিন শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ।

অস্বাভাবিক গরমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটায় বের হওয়া মানুষজন প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েন। সবচেয়ে বেশি কষ্টে ছিলেন রিকশাচালকেরা, যাদের জীবিকার তাগিদে এই দাবদাহের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যেতে হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে তাদের আয়ও কমে গেছে।

দুপুরের দিকে শহরের প্রধান সড়কগুলো তুলনামূলক ফাঁকা দেখা যায়। রেলগেট এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘সকাল ১০টার পর থেকেই রোদের তাপ বেশি মনে হচ্ছিল। দুপুরের দিকে যেন সেই তাপ দ্বিগুণ হয়ে যায়। মোটরসাইকেলে চলার সময় গরম বাতাসের দাপটে সড়কের পিচ যেন মুখে এসে লাগছিল।’

আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি জানান, ‘দুপুরে জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়ে দেখি, প্রচণ্ড গরমে সিঁড়িতে পা রাখা যাচ্ছে না।’

কোর্টমোড় এলাকায় বসে থাকা রিকশাচালক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এত গরমে মানুষ রাস্তায় বের হতেই চায় না। কিন্তু আমাদের তো রোজগার করতেই হবে, তাই গরম যাই হোক রাস্তায় থাকতে হচ্ছে।’

বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম থাকলেও, ঈদুল ফিতরের কেনাকাটার জন্য বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পর শহরে ভিড় বাড়তে থাকে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ জুন যশোরে তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৮ মে, রাজশাহীতে, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


সর্বশেষ সংবাদ