বিসিএসে যে কারণে এগিয়ে থাকছেন বিজ্ঞানের ছাত্ররা

বিসিএস পরীক্ষার্থী
বিসিএস পরীক্ষার্থী  © সংগৃহীত

বিসিএসে বিজ্ঞানের ছাত্রদের ভালো ফলাফল আলোচনার তুঙ্গে। বিশেষ করে প্রকৌশল ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সাফল্যে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এমন সাফল্যের কারণ কী? বিসিএসের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সর্বশেষ চার বিসিএসেই ভালো ফল করছেন বিজ্ঞানের ছাত্ররা। যদিও পিএসসি আলাদা করে কোনো বিভাগের ফল প্রকাশ করে না।

২০১৪ সালে বিসিএস পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে পিএসসি। সিলেবাস পরিবর্তনসহ প্রিলিমিনারী পরীক্ষা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ নম্বরের করা হয়। পরীক্ষার সময়ও এক ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়। মূলত এই সিলেবাস পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছেন বিজ্ঞানের ছাত্ররা। নতুন সিলেবাসে প্রথম পরীক্ষা হয় ২০০৬ সালে ৩৫তম বিসিএসে।

পরিবর্তিত সিলেবাস অনুযায়ী, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কম্পিউটার, গণিত ও মানসিক দক্ষতা অংশে নম্বর বাড়ানো হয়। ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারীর মধ্যে সাধারণ বিজ্ঞান-১৫, কম্পিউটার এবং তথ্যপ্রযুক্তি- ১৫, গাণিতিক যুক্তি-১৫, মানসিক দক্ষতা-১৫ নম্বরের প্রশ্ন আসে। এসব বিষয়ের প্রশ্নগুলো উচ্চতর শ্রেণির হওয়ায় বেশি ভালো করেন বিজ্ঞানের ছাত্ররা। এই ৬০ নম্বরই বিসিএসে পার্থক্য গড়ে দেয়। যে কারণে তারা মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। আগে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বিষয়গুলোতে আলাদা মানবণ্টন ছিল না।

আরও পড়ুন- গুচ্ছে নেই বড় চার বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তি নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ৩৮তম এবং ৪০তম বিসিএসে নন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, প্রশ্ন পদ্ধতি বিজ্ঞানের ছাত্রদের এগিয়ে রাখছে। যে বিষয়গুলোতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া সম্ভব সেবিষয়গুলোতে বিজ্ঞানের ছাত্ররা ভালো করছেন। বিশেষ করে গণিত ও মানসিক দক্ষতা, বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিষয়ে উচ্চতর শ্রেণি থেকে এখন প্রশ্ন হচ্ছে। যা স্বল্প সময়ে অন্য অনুষদের শিক্ষার্থীদের পক্ষে আয়ত্ত করা একটু কষ্টসাধ্য। রাসেল ৪১তম বিসিএসের লিখত পরীক্ষা দিয়েছেন এবং ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ