গুচ্ছে নেই বড় চার বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তি নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০৫ AM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩১ AM
গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবারও ভর্তি পরীক্ষায় আসছে না দেশের বড় চার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত বছর ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসে। এবার বড় চার বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে বলে আশা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। তবে সমন্বয়হীনতা ও নানা জটিলতার কারণে ওই চার বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আর আসছে না। এ ছাড়া গুচ্ছে থাকা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফেরার আগ্রহ দেখিয়েছে।
ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি ইউনিটে (ক, খ, গ, ঘ ও চ) ভর্তি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষা হবে চারটি ইউনিটে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট থাকবে না। বদলে যাবে ইউনিটগুলোর নামও।
এদিকে এবছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৪ জুলাই, যা চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে ২৫ মে, চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। এ ছাড়া চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে ১৫ জুন, চলবে ২৮ জুন পর্যন্ত।
এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে জানা যেতে পারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা কখন হবে। আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও (জাবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি এগিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাথীর্দের ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও ফল হয়েছে উল্টো। অনেক শিক্ষার্থীর অর্থ ব্যয় ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বেশি। গুচ্ছে থাকা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন খালি রয়েছে। সে কারণে বড় চার বিশ্ববিদ্যালয় এবার এ প্রক্রিয়ায় কোনো আগ্রহ দেখায়নি।
আরো পড়ুন: নীতিমালা না থাকায় দক্ষতাবিহীনরা উপাচার্য হচ্ছেন
যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গুচ্ছ পদ্ধতি টিকিয়ে রাখতে চাইছে। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় ভোগান্তি কমাতে গুচ্ছ পদ্ধতি শুরু হয়েছিল। একটা ব্যবস্থায় ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। এসব ত্রুটি দূর করতে পারব আশা করি।’ গুচ্ছ থেকে সরে না যাওয়ারও আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘খুব সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায়। নীতিমালা সংশোধন করে কৃষি গুচ্ছের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ২০ বিশ্ববিদ্যালয়েও সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।’