লিংক-লবিং ছাড়াই যেভাবে চাকরি পেতে পারেন
- ইউএনবি
- প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৪ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ PM
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজার, সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে বাজারের চাহিদাগুলো। এরপরেও লবিং ও রেফারেন্সের মতো চিরাচরিত বিষয়গুলো প্রায়ই প্রার্থীদের মৌলিক দক্ষতা ও যোগ্যতাকে ছাপিয়ে যায়। ফলে সঠিক জানাশোনা বা সুপারিশ ছাড়া চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করতে যেয়ে তাদেরকে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
এই বিড়ম্বনাগুলোকে পাশ কাটানোর জন্য দক্ষতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিৎ। চাকরি ক্ষেত্রে যে সক্ষমতাগুলো দুর্লভ ঠিক সেই দক্ষতাগুলোকে অর্জন করা সম্ভব হলে আলাদা করে আর কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয় না। চলুন, চাকুরী পেতে রেফারেন্স বা লবিংয়ের বিকল্প হতে পারে এমন কিছু অপরিহার্য দক্ষতার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
যে দক্ষতাগুলো চাকরি পেতে লবিং বা রেফারেন্সের বিকল্প হিসেবে কাজ করে>>>
ব্র্যান্ডিং
লাখ লাখ প্রতিযোগীদের ভিড়ে আলাদাভাবে নিজেকে প্রকাশ করার একটি মোক্ষম উপায় হচ্ছে সেল্ফ-ব্র্যান্ডিং। এটি একজন ব্যক্তির কাজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও অর্জনগুলো পরিবেশনের মাধ্যমে তার একটি স্বতন্ত্র পেশাদার পরিচয় তৈরি করে। এর ফলে নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির নিয়োগকর্তারা তাদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তিটিকে খুঁজে নিতে পারেন।
বর্তমানে অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে আরও কার্যকরভাবে ব্র্যান্ডিং করা যায়। একটি পেশাদার লিঙ্কডইন প্রোফাইল, একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও বর্তমানে ডিজিটাল ব্র্যান্ডিংয়ের পরিচয় বহন করে। জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোর পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি কেন্দ্রিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ও ফোরামগুলোতে সক্রিয় থাকার মাধ্যমেও ব্র্যান্ডিং করা যায়।
এভাবে অনলাইনে ব্যক্তির পেশাগত অবস্থিতি নিয়োগকর্তার কাছে তাকে দৃশ্যমান করে তোলে। এছাড়া জব পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিত্তিতে নিয়োগকর্তা ও চাকরি প্রার্থীদের একত্রিত করে। এই ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেও সুবিধা থাকে রিজুমি, সিভি ও ডিজিটাল পোর্টফোলিওর মাধ্যমে সেল্ফ-ব্র্যান্ডিংয়ের।
যোগাযোগের দক্ষতা
শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়; জীবনের যে কোনো কাজের জন্য সঠিকভাবে যোগাযোগ করা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা। এটি মূলত মৌখিক ও লিখিত- এই দুইভাগে বিভিক্ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আচরণগত ভাষা মৌখিক যোগাযোগকে সহজে বোধগম্য করে তোলে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নামে পরিচিত এই ধরনটি মূলত দেহের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কোনো কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে। হাত বা মাথা নাড়ানোর সঙ্গে মুখের কথার সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি।
একটি পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য এই সঙ্গতি অপরিহার্য। কেননা একটি যোগাযোগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে বক্তার কথা বলা, আর দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে শ্রোতার প্রত্যুত্তর। এই জবাবে শ্রোতা বক্তার কথা বুঝেছেন কি না তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
সাক্ষাৎকার, মিটিং বা আড্ডার সময় মৌখিক যোগাযোগের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। আর লিখিত যোগাযোগ সক্ষমতা কাজে লাগে ইমেইল, প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পেশাদার নথির খসড়া তৈরির সময়। বলার সময় কথা ও লেখার সময় বাক্য যত স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হয় ততই তা শ্রোতা বা পাঠকের জন্য সহজ হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে সব ধরনের মানুষের বোঝার নিমিত্তে সার্বজনীনতা বজায় রাখা আবশ্যক।
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত সাধারণ দায়িত্বগুলোতে আলাদা মান যুক্ত হয় সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে। এই দক্ষতার মধ্যে রয়েছে সঠিক সমস্যাটি শনাক্ত করা, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তা বিশ্লেষণ করা এবং কার্যকর সমাধানটি বের করে সেই সমস্যাটির যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করা।
নিয়োগকর্তারা এমন ব্যক্তিদের পছন্দ করেন, যারা অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর একটি সৃজনশীল সমাধান বের করতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিরা প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহের সময় তার খুটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সমাধানের ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হন। এতে বিশদ গবেষণা ও সুচিন্তার প্রয়োজন থাকলেও যারা যত দ্রুত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন তারা প্রতিযোগিতায় তত বেশি এগিয়ে থাকেন।
যে কোনো পরিবেশে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া
শুধুমাত্র নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়, নতুন পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেওয়া অভিজ্ঞ লোকদের জন্যও জরুরি। কেননা প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। প্রতিনিয়ত সামনে আসছে নতুন নতুন শর্ত, নতুন পদ্ধতি ও নতুন পরিস্থিতি। আর সেই সঙ্গে পুরনো দায়িত্বের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে নতুন দায়িত্ব। এমন পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে প্রায়ই প্রয়োজন হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে নতুন কিছু শিখে নেওয়া।
যারা নিজেদের আরামপ্রদ জায়গাটি একবার খুঁজে পাওয়ার পর সেখান থেকে আর বেরতে চান না, তারা এই অবস্থায় সমূহ বিড়ম্বনার শিকার হন। কারণ এক সময় যে কাজ বা দক্ষতাটি বেশ চাহিদা সম্পন্ন ছিল, কয়েক বছরের মধ্যে তার বাজার আর নাও থাকতে পারে। আর তাই ক্যারিয়ারের অগ্রগতির আরেক অর্থ হচ্ছে অভিযোজন ক্ষমতা।
দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রবণতা
একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মানেই অনেক লোকের সমাগম। আর যে কাজে যত বেশি লোক জড়িত থাকে সে কাজে তত বেশি প্রয়োজন হয় সংগঠনের ক্ষমতা। এর জন্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তির মনস্তত্ব ভালোভাবে বোঝার দরকার হয়। এর ধারাবাহিকতায় আরও যুক্ত হয় কাজের পদ্ধতিগত নির্দেশনা প্রদান, কাজ ভাগ করে সমবন্টন ও কোনো সমস্যা হলে সহযোগিতা করা। অর্থাৎ এখানে একসঙ্গে দুটি দক্ষতার প্রয়োজন- এক, যোগাযোগ এবং দুই, সমস্যা সমাধান।
একাধিক মানুষের কারবার থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ছোট-বড় দ্বন্দ্বের ব্যাপার থাকে। তাই এখানে দরকার হয় সমঝোতা, আপোস ও গঠনমূলক প্রতিক্রিয়ার। সহকর্মীদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা হলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয় ও সেই সঙ্গে কাজের প্রতি সন্তুষ্টিও থাকে।
সময়ানুবর্তিতা
যে কোনো উৎপাদনশীলতাকে তার স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দিতে পারে সময়ানুবর্তিতা। জীবনের নানা ক্ষেত্রে সারাদিনে কাজের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাছাড়া চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকে ঠিক করে দেওয়া লক্ষ্যকে অর্জন করতেও অনেক বেগ পেতে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুয়েকটা কাজ বেশি সম্পন্ন করা সম্ভব হলেও অন্যান্যদের থেকে একটু এগিয়ে থাকা যায়। এরকম কাজের চাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বের ভিত্তিতে কাজগুলোকে আগে-পরে সাজানো উচিৎ।
প্রত্যেকটি কাজের জন্য ঠিক করতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময়। অতঃপর সেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই নির্দিষ্ট কাজটি করার ক্ষেত্রে বদ্ধ পরিকর থাকতে হবে। এভাবে প্রতিদিন নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া যেতে পারে।
মধ্যস্থতা বা আপোসের দক্ষতা
বিভিন্ন পেশাগত পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের জন্য সুবিধাজনক ফলাফল অর্জনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপোসের দক্ষতা। চাকরির ইন্টারভিউয়ে বেতন, নতুন বিনিয়োগ বা ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, কিংবা নানা ধরনের প্রকল্পের শর্তাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। এমনকি প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ তথা পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য এই দক্ষতা থাকার আবশ্যক। এই দক্ষতার এক বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে সঠিক যোগাযোগ।
এর সঙ্গে যুক্ত হয় কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং প্রত্যেক পক্ষের চাহিদার ব্যাপারে সম্যক ধারণা। এখানে সার্বিকভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোকে উপজীব্য করে আলোচনায় দৃঢ়তা রাখা জরুরি। তবে সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় কূটনৈতিক আলোচনা যেন দ্বন্দ্বের দিকে পরিচালিত না করে।
আত্মবিশ্বাস
এটি এমন এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য যার অভাবে যথেষ্ট পারদর্শিতা থাকার পরেও নিমেষেই তা মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিজের কর্মক্ষমতার ব্যাপারে দৃঢ় ভাবে অবস্থান নিতে এবং তার কাজ সংক্রান্ত ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারে। এতে করে যিনি কাজ দিচ্ছেন তিনি সেই ব্যক্তির উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন।
যে কোনো জরুরি অবস্থায় এ ধরনের ব্যক্তিরা তার আশেপাশের লোকদের পরম নির্ভরতার খোরাক যোগান। একটি টিমে কোনো সদস্য যখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন, তখন তার সহকর্মীরা লক্ষ্য অর্জনে নিশ্চয়তা বোধ করেন। এই মানসিকতা তাদের প্রত্যেকের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করার ইন্ধন যোগায়।
ডিজিটাল সাক্ষরতা
বর্তমানের প্রযুক্তি-নির্ভর কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি বিভাগের জায়গা দখল করে নিচ্ছে ডিজিটাল ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার। এমনকি যে প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ কোনো ভাবেই জড়িত নয়, সেগুলোতেও এখন হরহামেশাই ব্যবহার হচ্ছে নানান ধরনের ডিজিটাল টুল্স।
মাইক্রোসফ্ট অফিস, গুগল ওয়ার্কস্পেস, হোয়াট্সঅ্যাপ এবং জুমের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালানোর দক্ষতা কোনো চাকরি বিজ্ঞপ্তিতে আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয় না। নিদেনপক্ষে ধরেই নেওয়া হয় যে কম্পিউটার কিবোর্ড টাইপ করার মতো এই বিষয়গুলোতেও প্রার্থীর অভ্যস্ততা রয়েছে। তাছাড়া ইন্টারনেট নির্ভর দুনিয়ায় ডিজিটাল সাক্ষরতা না থাকলে চাকরির জন্য সেল্ফ-ব্র্যান্ডিং ও যে কোনো মুহূর্তে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব নয়।
পেশাদারিত্ব
ইন্ডাস্ট্রি ভেদে প্রতিটি কাজেরই রয়েছে কিছু নিজস্ব নীতিমালা। এই নিয়মগুলোর আঙ্গিকে একজন ব্যক্তি তার কাজের প্রতি কতটা নিবেদিত তা যাচাই করা হয়। যেমন প্রতিষ্ঠানগত আচরণপ্রথা, সময়ানুবর্তিতা, উপযুক্ত পোশাক, গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত আবেগের বশবর্তী হয়ে বিচার না করা। এগুলো কেবল কর্মজীবনের জন্য পৃথক কোনো বৈশিষ্ট্য নয়। বরং শিক্ষা জীবন থেকে একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তির মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এগুলোর আবির্ভাব ঘটে।
বিশেষ করে অনুকরণ প্রক্রিয়াটি শৈশব থেকেই মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনেকেই অফিসের অদ্ভূত নিয়ম-কানুনেও অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে। এখানে সেই অভিযোজন ক্ষমতাও চলে আসে, যা বিশেষ করে শিক্ষানবীশদের জন্য অতীব জরুরি। তাছাড়া এই গুণাবলী সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক তৈরিতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।
শেষাংশ
এই দক্ষতাগুলোর সঠিক প্রদর্শনের মাধ্যমে লবিং বা রেফারেন্স নির্ভর চাকরির বাজারের দৃশ্যপটে অনেকটাই পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বিশেষ করে ডিজিটাল সাক্ষরতার সঙ্গে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে নিজের ব্র্যান্ডিং করাটা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ উপযোগী। কেননা এখন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলার পূর্বেই তার ব্যাপারে সম্যক ধারণা লাভের চেষ্টা করে। এখানে যাচাই হয়ে যায়- প্রার্থী কি কি সমস্যা সমাধানে পটু, কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেছে, এবং তাতে কতটুকু সুসংঘটিত থাকার বিষয় ছিল।
পরিশেষে সরাসরি সাক্ষাতের সময় এই ধারণাগুলো প্রতিফলনের পাশাপাশি দেখে নেওয়া হয় তার আপোস করার ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও পেশাদারিত্ব। এই দক্ষতাগুলো কেবল চাকরি পাওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারও পরে কর্মজীবনে উত্তরোত্তর অগ্রগতির জন্যও সহায়ক।