চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির সুপারিশের কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ PM , আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ PM
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের এ দাবি আমলে নিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শিক্ষামন্ত্রীর ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারি- বেসরকারি, আধা সরকারি, রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিতসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরকে মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তি সংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কেন এমন সুপারিশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী—সেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের মুখে মুখে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’
এদিকে আগামীকাল বুধবার (০১ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরতরা। সংবাদ সম্মেলনে দাবির পক্ষে যুক্তি ও কর্তৃপক্ষের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা রয়েছে।
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মো. শরিফুল হাসান শুভ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এটা নির্ধারণ করতে হবে। এ দাবি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন থেকে লাগাতার কর্মসূচি করে আসছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।