মাতৃভাষায় রচিত গবেষণাধর্মী বই ‘গল্পে গল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’

গল্পে গল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
গল্পে গল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং  © টিডিসি ফটো

আমর একুশে গ্রন্থমেলায় হোসাইন মোহাম্মদ মাসুমের সম্পাদনা ও রচনায় প্রথমবারের মতো মাতৃভাষা বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাধর্মী বই গল্পে গল্পে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মেলায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি পওয়া যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার তাম্রলিপি প্রকাশনীর ২১ নম্বর স্টলে।

পৃথিবী পরিবর্তনকারী নতুন জিনম এডিটিং টেকনোলজি CRISPR CAS9 নিয়ে লেখা বইটি জিনম এডিটিং নিয়ে বাংলা ভাষার প্রথম বই। বর্তমান সরকারের ভিশন-৪১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় বইটি সহযোগী হবে বলে আশা লেখকের। উন্নত বিশের সঙ্গে এগিয়ে যেতে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে সচল রাখতে জিমন এডিটিং গুরুত্বপূর্ণ। দেশের কৃষিজ ও প্রণিজ উন্নয়নে জিনম সিকোয়েন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা লেখকের।

উন্নয়ন অর্থনীতি ও কৃষিজ উৎপাদন বাড়াতে পণ্যের জিনোম এডিটিং প্রয়োজন। এর মাধ্যেমে সহজেই পণ্যের উৎপাদন বাড়বে কয়েকগুণ। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্নশেখ হাসিনা দেশের গবেষণায় বাংলা ভাষা ব্যবহারে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, লেখক সেই পরিকল্পনা থেকেই মাতৃভাষায় জিনোম এডিটিং গবেষণায় বই লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই প্রকাশ

মাতৃভাষায় গবেষণাধর্মী বই খুবই কম। জীববিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতেই বইটি লেখা। এই বইয়ের মাধ্যমে যেকোন বয়সের শিক্ষার্থীরা জীববিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী হবে। দুনিয়া পরিবর্তনকারী একটি নতুন বিপ্লব হচ্ছে জিনোম এডিটিং, সেটা জানানোর জন্যই বইটি লিখা। জিনোম এডিটিং খুবই নতুন একটি মাধ্যম, যা স্বাস্থ্য, কৃষিসহ শক্তি উৎপাদনের খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।

উন্নত বিশ্ব জিনোম এডিটিংয়ের মাধ্যমে উৎপাদনকে কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। কার্বনের নিঃসরণের হার কমিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের ৪র্থ এবং ৫ম শিল্প বিল্পব্ওে সহযোগী হিসেবে অবদান রাখবে জিনোম এডিটিং।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতিনামা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, “বইটি বাংলাদেশের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং গবেষণার ভাবধারায় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। শিক্ষার্থীদের বায়োলজি গবেষণায় আগ্রহী করে তোলবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান বলেন, “মাতৃভাষায় লেখা বইটি আধুনিক প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান গবেষণায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উন্নত বিশ্বের গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারবে।”

বইটির লেখক হোসাইন মোহাম্মদ মাসুম বলেন, “বইটি ছাত্র-ছাত্রীদের এবং গবেষকদের বায়োলজি গবেষণায় প্রব্লেম সলভিং এবং জিনম এডিটিং-এর বাস্তবিক ব্যবহার সহজে বুঝতে এবং প্রয়োগ করতে সহায্য করবে।”

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন এবং তাম্রলিপি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী তারিকুল ইসলাম রনিসহ অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ