বাকৃবিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৬ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৪ PM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সময় নবীন ১ হাজার ১১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই এবং রজনীগন্ধার ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। আগামী সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে।
বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও নবীনবরণ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন। এ ছাড়া বাকৃবির প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. রুহুল আমিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীমসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও শাখার পরিচালকবৃন্দ , বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ এবং নবীন শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ প্রায় দুই হাজার জন উপস্থিত ছিলেন।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বাকৃবি একটি ব্র্যান্ড। কৃষি গবেষণা ও অগ্রগতিতে নিরন্তর ভূমিকা রাখছে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। বাকৃবি গ্র্যাজুয়েটরা দেশের সর্বস্তরের প্রাঙ্গণে অবস্থান করছে। তাই নবীন শিক্ষার্থীদের মাদকসহ সব অনিয়ম থেকে দূরে থাকতে হবে। বাকৃবি বর্তমানে র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। আমি চাই, আজকে এখানে উপস্থিত সবাই দেশের মানুষের সেবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভূমিকা রাখুক। খাদ্য উৎপাদন, খাদ্যনিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের মতো বিজ্ঞানের যুগোপযোগী বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে গড়ে তোলো। তোমাদের প্রতি আমার একটাই আহ্বান, যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের গড়ে তোলো, যেন বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর সেবা করতে পার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে উচ্চশিক্ষার মান ক্রমাগতই নিম্নগামী হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাব উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলেছে। কারণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উচ্চশিক্ষার প্রাথমিক জ্ঞানভাণ্ডার ইংরেজি ভাষায় সংরক্ষিত। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার অভাবে এসব জ্ঞান সম্পূর্ণভাবে আত্মস্থ করা সম্ভব হয় না।
আরও পড়ুন: পিএসসির সদস্য হলেন শেকৃবি শিক্ষক
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সেই উচ্চশিক্ষার মান যথাযথ নিরূপণ করে শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নবাগত ছাত্রছাত্রীদের বলতে চাই, তোমাদের সামনে রয়েছে এক অপার সম্ভাবনা। চলমান সময়ে তোমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। দেশ গড়ার কাজে তোমাদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। নির্যাতন-নিপীড়ন ও শোষণ-বঞ্চনাহীন এক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’