ডিম উৎপাদনেও সরকারকে প্রণোদনা দিতে হবে: বাকৃবি উপাচার্য
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৮ AM , আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০১ AM
চাল উৎপাদনের পাশাপাশি ডিম উৎপাদনেও সরকারকে প্রণোদনা দিতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক সকলকে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ডিম ও গর্ভবতী মায়েদের তিনটি করে ডিম খাওয়া উচিত। তাহলেই সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠন সম্ভব। উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে আমাদের খাদ্যে তালিকায় প্রাণিজ আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া প্রয়োজন।
‘ডিমে পুষ্টি, ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাকৃবিতে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) পশুপালন অনুষদের বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে পশুপালন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সকাল ১০টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পশুপালন অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে গিয়ে শেষ হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ‘ভবিষ্যত সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দে এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, ওয়াপসা-বিবির সাধারণ সম্পাদক ড. বিপ্লব কুমার প্রামানিক প্রমুখ।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী বলেন, প্রাণিজ আমিষের মধ্যে ডিমের দাম সবচেয়ে কম। শরীর সুস্থ-সবল রাখার জন্যে প্রতিটি মানুষের দিনে কমপক্ষে ১টি করে ডিম খাওয়া দরকার। সম্প্রতি খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিটি মানুষকে দিনে দুটি করে ডিম খাবার জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিম সেরোটনিন এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে যা মানুষের মানসিক চাপ কমায় ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে। ডিম ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ডিমের কোনো বিকল্প নেই।
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন এবং সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম ভিয়েতনামে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা দূর করে জনসচেনতা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাকৃবিতে পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ২০১৪ সালে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়।