ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশে কতদিন লাগে?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫ AM , আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা চলছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা হয়। আজ শনিবার হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা। এসব পরীক্ষার এমসিকিউ উত্তরপত্র দেখার পর উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা হয়। এ প্রক্রিয়া শেষে ফলাফল প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এবারও ভর্তিচ্ছুদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের সমন্বয়ক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান। পরীক্ষা শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এমসিকিউ ও লিখিত- দুটি অংশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমে আমরা এমসিকিউ অংশের কাজ শেষ করব। এখানে যারা পাস করবে শুধুমাত্র তাদের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করব।
তিনি বলেন, দু’টি অংশে পরীক্ষা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ফল প্রকাশে একটু সময় লাগতে পারে। এছাড়া এবারে বিগত বছরের চেয়ে ভর্তিচ্ছুর সংখ্যাটাও কিছুটা বেড়েছে। তবে বিগত বছরগুলোতে যে সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, এবারও আমরা সে স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখার চেষ্টা করব।
এখন প্রশ্ন হলো কতদিনে এ প্রক্রিয়া শেষ হয়? ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় ৫ জুন। এর আগে ১২ মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে ফল প্রকাশ ২৩ দিনের মতো সময় লেগেছিল। একই শিক্ষাবর্ষের ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’র ভর্তি পরীক্ষার ফল ৭ জুন প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষা হয়েছিল ৬ মে। প্রায় এক মাস সময় লেগেছিল।
আরো পড়ুন: একদিনে দেশসেরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লড়াইয়ে ভর্তিচ্ছুরা
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালের ৪ জুন। ২৩ দিনের মধ্যে ২৭ জুন ফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। সে হিসেবে এবারও ২০ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত ফল প্রকাশে সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে।
চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য এবার আবেদন জমা পড়েছে সবচেয়ে বেশি। আবেদন করেন এক লাখ ২২ হাজার ২৭৮ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া বিজ্ঞান ইউনিটে এক লাখ ২২ হাজার ১৩১ এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে আবেদন করেন ৩৭ হাজার ৬৮১ জন।