কুরআনে ভূমিকম্প নিয়ে সূরাই আছে একটি, সেখানে যে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে

২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ PM , আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ PM
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

কুরআনে একটি সূরাই সরাসরি ভূমিকম্পের নামে পরিচিত নাম সূরা যিলযালাহ। এটি কুরআনের ৯৯তম সূরা।  আরবি শব্দ ‘যিলযাল’ অর্থ তীব্র কম্পন এমন এক কম্পন, যার শক্তি মানবসভ্যতার পরিচিত সব ভূমিকম্পকে ছাড়িয়ে যায়। ইসলামে এটি কেবল একটি ভূকম্পন নয় বরং শেষ সময়ের সবচেয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর একটি।

এই সূরাটি কিয়ামতের আগমুহূর্তে পৃথিবীর আচরণ, মানুষের কর্মফল উন্মোচন এবং বিচার দিবসের ভয়াবহ চিত্র অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর ভাষায় তুলে ধরে।

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশেষ ও সর্ববৃহৎ ভূমিকম্প
সূরা যিলযালাহর প্রথম আয়াতেই বলা হয়েছে, ‘যখন পৃথিবী তার প্রচণ্ড ভূমিকম্প দ্বারা কাঁপানো হবে…’ মুফাসসিররা ব্যাখ্যা করেন, এটি সাধারণ ভূমিকম্প নয় বরং এমন এক সর্বগ্রাসী কম্পন যা পুরো পৃথিবীকে নড়বড়ে করে দেবে, পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ হবে, সব নির্মাণ ভেঙে পড়বে, মানুষ দিক নির্ণয় করতে পারবে না। ইসলামি দৃষ্টিতে এটি মানব ইতিহাসের শেষ ভূমিকম্প যার পর আর পৃথিবীতে কোনো জীবনধারণ সম্ভব থাকবে না।

“সেদিন পৃথিবী তার খবর বর্ণনা করবে”
হাদিস ও তাফসিরে বলা হয়, মানুষ যে জায়গায় যে কাজ করেছে, সেই ভূমি কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে বা পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। অর্থাৎ পৃথিবী হবে মানুষের কর্মফল রেকর্ড করা জীবন্ত আদালতের নথি।

এই ভবিষ্যদ্বাণী আজকের যুগে আলাদা মাত্রা পায়। প্রযুক্তি মানুষের কাজ রেকর্ড করছে, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত হচ্ছে, ডিজিটাল ডেটা দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে থাকে না। অনেক আলেম মনে করেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি কুরআনের “পৃথিবী তার খবর প্রকাশ করবে”–বাক্যের বাস্তবতা উপলব্ধি করাকে আরও সহজ করে দেয়।

মানুষের অতি ক্ষুদ্র কাজও ফল হিসাবে ফিরে আসবে
সূরা যিলযালাহর শেষ অংশটি মানবজাতির জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী সতর্কতা। ‘যে ব্যক্তি তিল পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে তিল পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, সেও তা দেখতে পাবে।’ এর অর্থ হলো- মানুষের করা কোনো কাজই হারিয়ে যায় না, খুব ক্ষুদ্র সৎকর্মও পুরস্কৃত হবে, গোপন অন্যায়ও প্রকাশিত হবে, বিচার হবে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে, ইসলামের দৃষ্টিতে এই আয়াত মানবজাতির নৈতিকতার সবচেয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী। কোনো কিছুই অদৃশ্য থাকবে না, সবই ফিরে আসবে।

যিলযালাহকে বলা হয় ‘শেষ সময়ের মানচিত্র’
মুফাসসিররা বলেন, সূরাটি কিয়ামতের পুরো দৃশ্যকে ৮ আয়াতে ফুটিয়ে তুলেছে- পৃথিবীর সর্বনাশা ভূমিকম্প, মাটির নিচে লুকানো সব কিছু বেরিয়ে আসা, পৃথিবীর সাক্ষ্য দেওয়া, মানুষের দিশাহারা হয়ে পড়া, কর্মফল উন্মোচন, পরম ন্যায়বিচারের ঘোষণা।

ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস নিয়োগ দেবে ট্রেইনি সেলস এক্সিকিউটিভ, …
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হলো শহীদ আনাসের চিঠি
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিপিএলের ম্যাচ স্থগিত
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের কান্না, চলছে কোরআন খতম; উড়ছে কালো পত…
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
নেতানিয়াহুর সঙ্গে ‍বৈঠকের পর ইরানে হামলার হুমকি ট্রাম্পের, …
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকা
  • ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫