ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হল হজ। তবে এটি সব মুসলমানের জন্য ফরজ নয়—এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত। শর্ত পূরণ না হলে হজ আদায় করা ফরজ হয় না।
ধর্মীয় ও মানসিক যোগ্যতা:
হজ কেবল মুসলমানদের জন্যই ফরজ। কোনো অমুসলিমের ওপর এর দায়িত্ব নেই। এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া অপরিহার্য। মানসিক ভারসাম্যহীন বা পাগল ব্যক্তির জন্য হজ ফরজ নয়।
বয়স ও স্বাধীনতা:
হজ আদায়ের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া শর্ত। ছোট শিশুদের ওপর এটি ফরজ নয়। তদুপরি, একজন স্বাধীন ব্যক্তি হতে হয়। যদিও বর্তমান যুগে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত, তবু ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এই শর্তটি অন্যতম।
আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য:
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, *"যাদের সামর্থ্য রয়েছে, তাদের জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।"* (সূরা আলে ইমরান: ৯৭) ফকিহগণ বলেন, হজ পালনের পর নিজ দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত খরচ বহনে সামর্থ্য থাকলে তবেই তা ফরজ হয়। এমনকি কারও যদি স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে হজে যাওয়ার সুযোগ থাকে এবং ফেরার পর তার জীবন নির্বাহের উপায় থাকে, তবে তার ওপরও হজ ফরজ।
শারীরিক সক্ষমতা:
শারীরিক সুস্থতা হজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেউ যদি সুস্থ থাকাকালীন আর্থিকভাবে সক্ষম হন, সে সময় হজ না করলেও পরবর্তীতে বদলি হজ আদায় করতে হয়।
এই শর্তগুলো পূরণ হলেই কেবল একজন মুসলমানের ওপর হজ ফরজ হয় বলে ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ মত প্রকাশ করেছেন।