কিউএস টেকসই র্যাঙ্কিং-২০২৬ © টিডিসি সম্পাদিত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিশ্বসেরা টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) চতুর্থবারের মতো ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস: সাসটেইনেবিলিটি ২০২৬’ শীর্ষক এ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। টানা তৃতীয়বারের দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) এবার পেছনে ফেলেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
চতুর্থবারের মতো প্রকাশিত এই র্যাঙ্কিংয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান বিশ্বে ৪৮৪তম। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৬১৯তম। বিশ্বসেরা এক হাজারের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। এছাড়া এক হাজারের তালিকায় বাংলাদেশের আর কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। তালিকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৯৮৯তম।
এবারের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। তালিকায় এক হাজারের বাইরে স্থান হয়েছে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০৪১-১০৫০, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১০৭১-১০৮০, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অবস্থান ১১৫১-১২০০, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অবস্থান ১২০১-১২৫০, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অবস্থান ১৩০১-১৪০০। এছাড়া ১৫০০+ এর পরে রয়েছে যথাক্রমে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ১৫০০+ এর পরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।
এবারের র্যাঙ্কিংয়ে সারা বিশ্বের প্রায় ১ হাজার ৯৯৪টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তালিকায় এবার কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছে সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি। র্যাঙ্কিংয়ে এবার তিনটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়েছে। সব সূচক মিলিয়ে মোট স্কোর ১০০। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়। তিনটি সূচকের মধ্যে পরিবেশগত প্রভাব ৪৫%, সামাজিক প্রভাব ৪৫% এবং শাসনগত প্রভাব ১০% ধরে এই মান নিরূপণ করা হয়েছে।
২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে কিউএস। সেবার বিশ্বসেরা টেকসই ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল। আর তাতে স্থান পেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)। সেবার এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৫৫১-৬০০ ও বুয়েটের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ওপরে। এছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকায় স্থান হয়নি।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশিত এই র্যাঙ্কিংয়েও এ তালিকায় এক হাজারের মধ্যে ৬৩৭তম স্থান লাভ করে বাংলাদেশ থেকে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ৯০১ থেকে ৯২০ এর মধ্যে অবস্থান করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তাছাড়া এক হাজারের বাইরে স্থান হয়েছিলও আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়।
গত বছর তৃতীয়বারের মতো প্রকাশিত এই র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৩৪তম স্থান লাভ করে বাংলাদেশ থেকে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আর ৬৯০তম স্থান লাভ করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। সেবার এ তালিকায় এক হাজারের বাইরে স্থান হয়েছিল ১৩টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের।