আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৮৬ভাগই শিশু

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ AM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ AM
আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল

আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল © টিডিসি ফোটো

চাঁদপুরের মতলবে অবস্থিত আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, চাঁদপুরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার শিশুরা ব্যাপক হারে শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত ২১ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবির) চাঁদপুরের মতলব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ১০৭ শিশু; অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছে ১৯৬ শিশু। ভর্তির এ সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ভাইরাসের বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ থাকায়, দূষিত পানি পান ও খাবার গ্রহণের কারণে তীব্র শীতে এত বেশি শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা চন্দ্রশেখর দাস বলেন, শিশুর পরিচর্যাকারী মা-সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে ও বুকের দুধ না খাওয়ালে সাধারণত শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত শিশুদের পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমিও হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে জ্বরও হতে পারে।

আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১ডিসেম্বর থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত ২১ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ৭৭৬ জন। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ১০৭ জন। বাকিদের বয়স ৫ বছরের বেশি। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হয়েছে ৫ বছর বয়সী ১৯৬ শিশু। এ সংখ্যা বছরের স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণের বেশি। স্বাভাবিক সময়ে ভর্তি হয় ১০০ জন। এসব শিশুর বাড়ি চাঁদপুর, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলায়।

আজ সোমবার দুপুরে আইসিডিডিআরবির মতলব হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার প্রতিটি ওয়ার্ড ডায়রিয়া রোগীতে ঠাসা। বারান্দায়ও রয়েছে অনেক রোগী। রোগীদের অধিকাংশই শিশু। এসব রোগীর চিকিৎসায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার বরদিয়া এলাকার বাসিন্দা লাকি আক্তার বলেন, ঘন ঘন বমি ও পাতলা পায়খানা হওয়ায় তাঁর ১৫ মাস বয়সী পুত্রশিশু জুনায়েদকে গতকাল রাতে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। চিকিৎসকেরা সুজি, খাওয়ার স্যালাইন ও বেবিজিংক খেতে দিয়েছেন। তার অবস্থা একটু ভালো।

হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা চন্দ্রশেখর দাস বলেন, শূন্য থেকে ৬ মাস বয়সী শিশুদের মায়ের বুকের দুধ ও নিয়ম করে পরিমিত খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। ৬ মাসের অধিক বয়সী শিশুদের খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খেতে দিতে হবে। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের খাওয়ার স্যালাইন, প্রতিদিন একটি করে বেবিজিংক (১০ দিনে ১০টি) পানিতে গুলে খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি ডাবের পানি, চিড়ার পানি ও স্যুপ খেতে দিতে হবে। এ রোগ সারতে ৫ থেকে ৭ দিন—এমনকি ১০ দিনও লাগতে পারে। শিশুদের পাতলা পায়খানা, বমি বা জ্বর হলে বাড়িতে নিয়ম মেনে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। নেতিয়ে পড়লে বা অবস্থার অবনতি হলে বিলম্ব না করে শিশুকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি স্থগিত করে নতুন সিদ্ধান্ত
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শিবিরের দুবারের সাবেক সভাপতি
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
এ পর্যন্ত যে জামায়াত নেতারা নিজ আসন ছাড়লেন
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন নাহিদ ইসলাম
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
১৭ বছর পর নয়াপল্টন কার্যালয়ে তারেক রহমান
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর করুন সুইডেনে, আবেদন শেষ ১৫ জানুয়…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫