সাদিও মানে © ফাইল ছবি
সাদিও মানে সেনেগালের বিশ্বমানের ফুটবলার। তার গতি, দক্ষতা ও গোল করার ক্ষমতার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। লিভারপুলের হয়ে ইউরোপে দাপিয়ে খেলার পর তিনি সৌদি আরবে আল-নাসরের হয়ে খেলছেন। সেখানে খেলার সুবাদে দারুণ কিছু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কাটানো একটি মুহূর্ত তার হৃদয়ে বিশেষভাবে দাগ কেটেছে।
সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ও উপস্থাপক রিও ফার্দিনান্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই আবেগঘন স্মৃতির কথা শেয়ার করেছেন আল-নাসর তারকা। পাশাপাশি দলের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবিশ্বাস্য পেশাদারিত্ব নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
সৌদিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে মানে বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। এখানকার মানুষজন অবিশ্বাস্য রকমের আন্তরিক।’
বিশেষ করে রমজান মাসের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করে তিনি জানান, একদিন তিনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে ইফতারের আমন্ত্রণ জানান।
সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে মানে বলেন, “মজা করে আমি তাদের বললাম, ‘আপনারা তো আমাকে চিনেন না! আমি কীভাবে আপনাদের সঙ্গে বসব?’ কিন্তু তারা জানালেন, কোনো সমস্যা নেই। আমাকে অবাক করে দিয়ে তারা আবারও আমন্ত্রণ জানালেন।”
রিও ফার্দিনান্দ তখন কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করেন, তারা সাদিও মানেকে চিনতে পেরেই ডেকেছিলেন কি না। উত্তরে মানে বলেন, ‘তারা জানতেন না আমি কে। তাদের এমন উদার মন, খাবার ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা এবং একসঙ্গে চলার সংস্কৃতি সত্যিই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
শুধু সৌদি জীবনযাত্রা বা বাংলাদেশিদের আতিথেয়তা নয়, সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে আল-নাসরে তার সতীর্থ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রসঙ্গও। ৪০ বছর বয়সেও রোনালদোর পারফরম্যান্স এবং দলের ওপর তার প্রভাব নিয়ে সাদিও মানে ছিলেন উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘রোনালদো প্রতিটি ফুটবলারের জন্য এক অনন্য উদাহরণ। আমি আমার জীবনে তার মতো খেলোয়াড় দেখিনি।’
মানে আরও যোগ করেন, ‘সে প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে এবং ৪০ বছর বয়সেও জয়ের ক্ষুধা ধরে রেখেছে। সে একজন পরিপূর্ণ অ্যাথলেট। সবার আগে অনুশীলনে আসা এবং দলের মধ্যে কাজের স্পৃহা ছড়িয়ে দেওয়ায় তার জুড়ি নেই।’