রাবিতে এপিকের চতুর্থ সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৭ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৭ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের নাট্য সংগঠন এপিকের চতুর্থ সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
তিন ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত নাট্য উৎসবে সামিন ইয়াসার নাফির পরিচালনায় মঞ্চায়িত হয় শেক্সপিয়ারের ইংরেজি নাটক ‘আ মিডসামার নাইটস ড্রিম’। এ নাটকের মূল ঘটনা ছিল, থিসিউস এবং হিপপোলিটার বিবাহকে ঘিরে আবর্তিত। যার একটি সাবপ্লটে চারজন এথেনিয়ান প্রেমিকের মধ্যে দ্বন্দ্ব জড়িত ছিল। উভয় গোষ্ঠীই নিজেদেরকে পরীদের দ্বারা অধ্যুষিত একটি বনে খুঁজে পায়। যারা মানুষকে চালিত করে এবং তাদের নিজস্ব ঘরোয়া ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। নাটকটি শেক্সপিয়রের অন্যতম জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হয়।
এবিষয়ে নাফি জানান, এটি উইলিয়ম শেক্সপিয়ারের নাটক। তাঁর নাটককে আধা ঘন্টার মধ্যে আটানো মূলত সম্ভব নয়। তবু আমরা আসল নাটকের নির্যাস ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: ৩০ নম্বরেই একাধিক ভর্তিচ্ছুর খুবিতে ভর্তির সুযোগ!
পরবর্তীতে সৈয়দ ইকরামুল হাসানের গল্পে ও ইফতেখারুল ইসলাম ফামিনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় মঞ্চায়িত হয় অন্য আরেকটি বাংলা নাটক 'পুনর্জাগরণ'। এ নাটকের মূল বিষয় ছিল, একটি কাল্পনিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মানুষকে তাদের হাতে আনতে চায়। সেজন্য তারা মানুষের বিশ্বাস ও আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পৃথিবীতে নানা ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। ফলে মানুষও এই ভ্রমের শিকার হয়ে ননীর পুতুলের মত ফাঁদে পা দেয়।
'পুনর্জাগরণ' নাটকটির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম ফামিন জানান, ১৯৪৬ এর দেশ ভাগের সময়কার দাঙ্গাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। গল্পটি যদিও সেই দেশভাগ এবং দাঙ্গাকে ঘিরে হলেও মূল বিষয়বস্তু থেকে আরেকটু গভীরে। কারণ এই দেশভাগের সময়টাকে মধ্যখানে রেখে আমি একটি প্রশ্ন ছুঁড়তে চেয়েছি। এই প্রশ্নটা মূলত আমাদের কাছেই।
তিনি বলেন, আমরা যে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা নিজেদের অজান্তেই প্রভাবিত হই, আর এই প্রভাবিত হওয়ার দ্বারাই যে আমরা ব্যবহৃত হই, তা কি আমরা কখনই বুঝেছি বা বুঝতে চেয়েছি? প্রাচীন ইতিহাস থেকে আজ অব্দি কিন্তু এই প্রশ্নই আমরা এড়িয়ে এসেছি। যা এ নাটকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
এছাড়া এপিক চতুর্থ সাংস্কৃতিক উৎসবে হোসেইন ফরহাদের নির্দেশনায় সঙ্গীত এবং মার্সিয়া তেরেসা কস্তার নির্দেশনায় নৃত্য প্রদর্শিত হয়েছে।
এবিষয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সামিন ইয়াসার নাফি বলেন, ছাত্র থাকা অবস্থায় আমি বিভিন্ন নাটক লেখার পাশাপাশি অভিনয় করতাম। পড়াশুনা শেষে ২০১৭ সালে বিভাগে এই কালচারটা ধরে রাখা এবং সৃজনশীল শিল্পীদের একটা যায়গা করে দেয়ার লক্ষ্যই এ নাট্য সংগঠন চালু করা হয়। যাতে বিভাগের সকল শিল্পী নিজেদের সৃজনশীলতা চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে। আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।