মেঘলার মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে মানতে পরোক্ষভাবে চাপ দেয় ডিবি

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে ডিবির পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন মেঘলার মা শারমিন চৌধুরী শিল্পী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট জানানোর নামে ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে আমাদের মানসিক হয়রানি করা হয়। আমাদেরকে পরোক্ষভাবে চাপ দেয়া হয় এটাকে আত্মহত্যা হিসেবে মেনে নিতে।

তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল মেঘলার স্বামী ইফতেখারের জামিন মন্ঞুর হয়েছে। ইতিহাসের এক বিরল ঘটনা ঘটেছে সেদিন ঢাকার দায়রা জজ আদালতে। ডিবি পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন তখনও কোর্টে জমা হয়নি। আসামি পক্ষ প্রতিবেদন এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের ফটোকপি আদালতে জমা দিয়েছিল মাত্র। বাদী পক্ষের আপত্তির মুখে, বিচারক তার বিচার কার্য স্থগিত রেখে উপযাজক হয়ে ডিবির সাথে ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে যে ফটোকপি বা আংশিক প্রতিবেদনগুলো সঠিক কি-না। তারপর জামিনের আদেশ দিয়েছে।

লিখিত ওই বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ইফতেখারের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়নি। বিবেচনায় আনা হয়নি সে একজন বিদেশি নাগরিক। লিখিত ওই বক্তব্যে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত ফরেনসিক রিপোর্টে কারচুপি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি গত ১৫ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে মেঘলার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে অপরাধীর অপরাধকে লঘু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। মেঘলার মা বলেন, রিপোর্ট এখনও কোর্টে জমা হলো না। ভিকটিম পরিবারকেও জানানো হলো না। আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেয়া হলো না। আইনগত ভাবে না-রাজি দেয়ার সুযোগ দেয়া হলো না। তার আগেই টিভি চ্যানেলে উর্ধ্বতন তদন্ত কর্মকর্তারা বিস্তারিত তুলে ধরলেন? এর পেছনে উদ্দেশ্য কী? এসময় তিনি মেঘলার মৃত্যুর দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা এবং বিভিন্ন সময়ে মেঘলার পাঠানো ভয়েস মেসেজ বাজিয়ে শোনান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দুইটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- অনতিবিলম্বে ইফতেখারের জামিন বাতিল করে পুনরায় হেফাজতে নেওয়া এবং সীমান্ত আর ইমিগ্রেশনে রেড এলার্ট জারি করাসহ ইন্টারপোলে ইফতেখারের নামে রেড এলার্ট জারি করা।

এসময় সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেঘলার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, মেঘলার পরিবারের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, মেঘলার ছোটবোন সামান্তা চৌধুরী, সহপাঠী ও ঢাবি বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ