চবিতে ডিন নির্বাচন করছেন রাবিপ্রবি ভিসি

অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক
অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক  © টিডিসি ফটো

আগামীকাল ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের ডিন নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রাপ্ত চবি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েও যোগদান না করে ডিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এই ঘটনা নজিরবিহীন এবং রাষ্ট্রপতির আদেশের অবজ্ঞা বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। যদি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক উপাচার্য হিসেবে যোগদান না করেন সেক্ষেত্রে ডিন নির্বচানে অংশ নেয়া যুক্তিসঙ্গত বলছেন তারা।

জানা যায়, গত ২৩ মার্চ ২০২২ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে পাঁচটি শর্তে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে তাঁকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার কথা উল্লেখ করা হলেও জানা গেছে, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগদান করেন নি। আইন অনুষদের ডিন পদে বাম ও আওয়াপন্থী শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ডিন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে তথ্যসূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: নিয়োগের পর জানা গেলো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয়!

অন্যদিকে আইন অনুষদের ডিন নির্বাচনে অংশ নেয়া আরেক প্রার্থী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি লিখিত পত্র দেন। অধ্যাপক মো. জাকির বলেন, অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েও যোগদান না করে ডিন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এই ঘটনা নজিরবিহীন। অন্যদিকে, ২৩ মার্চ তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর করতে বলার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও ওনি যোগদানে বিলম্বিত করে ডিন নির্বাচন করছেন। যেহেতু দুইটি পদেই ওনার অবস্থান পরিষ্কার নয়, সেহেতু এখানে হয়তো কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে থাকতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ না, একটা পত্র দিয়েছেন অধ্যাপক জাকির হোসেন। তবে আমাকে ড. ফারুক জানিয়েছেন ওনি উপাচার্য পদে যোগ দিবেন না। তিনি ডিন নির্বাচন করবেন।

সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ডিন নির্বাচনের সাথে উপাচার্য পদের সম্পর্ক কী? আমি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আগে থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৩০ জুন ডিন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। যেহেতু প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় শেষ, সেহেতু আমি নির্বাচন না করলেও আমার প্রার্থিতা থাকবে। ভোটাররা আমাকে ভোট দিতে পারবে। তবুও কেন অহেতুক কিছু নিচু শ্রেণীর লোক আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বুঝিনা।

আরও পড়ুন: রাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক

উপাচার্য পদে যোগদান করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি প্রস্তুতির বিষয় আছে। যোগ দিলে সবাই দেখতে পারবে। প্রজ্ঞাপনে যোগদানের সময় থেকে চার বছর দায়িত্বে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু কখন যোগ দিতে হবে তার উল্লেখ নেই। শুধু বলা আছে অবিলম্বে এ আদেশ কর্যকর করার কথা। এজন্য আমি বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করছি। কিন্তু এগুলো নিয়ে মিথ্যাচার করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানায় না।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের ডিন নির্বাচন থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। নির্বাচনের একদিন আগে আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসানের নিকট পত্র দিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ