রাবিতে হরতাল পালনকালে প্রক্টরের সামনে ছাত্রীর উপর হামলা

প্রক্টরের সামনে ছাত্রীর উপর হামলা
প্রক্টরের সামনে ছাত্রীর উপর হামলা  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম জোটের দেয়া হরতালপালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৮মার্চ) সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার সামনে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুনকে ধাক্কা দিয়েছেন এক পরিবহন কর্মচারী।

জানা যায়, ভোজ্যতেল-চাল-ডাল-পিঁয়াজসহ খাদ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিরোধ ও গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মূল্যবৃদ্ধির অপতৎপরতা বন্ধে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহবানে সারাদেশে অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৬ টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করে।

কর্মসূচি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচলে বাঁধা দিলে পরিবহন দপ্তরের কর্মচারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি এক পর্যায়ে তারা চড়াও হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাকিলা খাতুন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক রিদম শাহরিয়ারের উপর এ হামলা করে।

এবিষয়ে ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক রিদম শাহরিয়ার বলেন, দেশে খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনের লক্ষ্যে সকাল থেকে অবস্থান করছি। কেননা দেশের সকল সংকট অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরব ছিল। তাদের প্রতিবাদের ফলেই এমন অনেক সংকট নিরসন হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় হরতাল সফল লক্ষ্যে কর্মসূচি পালনকালে পরিবহন দপ্তরের কর্মচারী আমাদের উপর চড়াও হয় এবং আমাদের উপর হামলা করে।

আরও পড়ুন: হরতালের প্রভাব নেই রাজধানীতে

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর এমন হামলাসহ সারাদেশে পুলিশ ও আওয়ামী হামলার  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল ও বিক্ষোভের ঘোষণা দেন জোটের নেতাকর্মীরা।

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মোকছিদুল হক জানান, সকালে হরতাল পালন করা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচলে তারা বাঁধা প্রদান করেন। ফলে সকাল আটটার বাস চলাচল করতে পারেনি। আবার সকাল সোয়া ৯টার বাসে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারী বিভিন্ন জায়গা এসে ক্লাস ওঅফিস করে। কারণ অফিস ক্লাস খোলা। কিন্তু পুনরায় তারা বাস চলাচলে বাঁধা দিলে কর্মচারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সরকার বিরোধী কথাবার্তা বলে বক্তব্য দিতে শুরু করলে কর্মচারীরা চড়াও হয় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে কর্মচারীরা পরিবহন দপ্তরের কেউ নয় বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সকাল থেকেই তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিল। হরতাল পালন কালে তারা ক্যাম্পাসের বাস চলাচলে বাধা দিলে আমরা তাদের বলি, রাস্তায় বাস চলাচলসহ অফিস আদালত সবই চলছে। তোমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করে প্রতিবাদ জানাও এবং বাস গুলো চলাচলের সুযোগ দাও। কিন্তু তারা চলাচলে বাধা দিলে একপর্যায়ে পরিবহনের কর্মচারীদের সাথে কথা-কাটাকাটি হলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি শান্ত করার চেষ্টা করেছি। তাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে অফিসিয়ালি বসে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু তারা তাতে অস্বীকৃতি জানায়।


সর্বশেষ সংবাদ