আজ ঢাবির মঞ্চে ‘কোথায় পাব তারে’

নাটকের একটি দৃশ্য
নাটকের একটি দৃশ্য  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যৎসবে আজ রোববার মঞ্চস্থ হবে শহীদুল জহিরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত নাটক ‘কোথায় পাব তারে।’

গল্পটির নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছে থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম সায়ান।নাটকটি আজ সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে।

নাটকে অভিনয় করবেন রাফায়াতুল্লাহ সোহান, ওবায়দুর রহমান সোহান, হোসাইন জীবন, শেখ রাহাতুল ইসলাম, মুনিরা মাহজাবিন মিমো, রায়হান উল্যাহ।

নাটকে মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা করবেন আশরাফুল ইসলাম সায়ান, পোশাক পরিকল্পনা রিমি রফিক, পোশাক পরিকল্পনা সহযোগীতায় মো. রাফায়াতুল্লাহ, নীহারিকা নীরা, মঞ্চ পরিকল্পনা সহযোগী শেখ মুমতারিণ অথৈ, মেজবাহুল ইসলাম জিম; আলোক প্রক্ষেপণ, মো. আশরাফুল ইসলাম ও ওয়াজেদ শাহরিয়ার হাশমী।

এছাড়াও নাটকে সংগীত পরিকল্পনায় থাকবেন ফাহাদ জামান, ওয়াহিদা বিনতে রোকন, দেহ বিন্যাস ও চলন অমিত চৌধুরী, রূপসজ্জা পরিকল্পনা ইন্দ্রাণী দাশ নিশি, যারীন তাসনীম, দ্রব্য পরিকল্পনা রিজভী সুলতানা, আজরিনা শারমিন প্রিয়া, শেখ রাহাতুল ইসলাম এবং নাটকের পোস্টার ডিজাইন উন্মেষ আরিফ।

আরও পড়ুন: কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

নাটক সম্পর্কে নাটকের নির্দেশক মো. আশরাফুল ইসলাম সায়ান বলেন, পরিচিত পৃথিবীতে আমাদের অর্থহীন জীবনের মানে করার প্রয়োজনে আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকি। যখন সেই লক্ষ্য অর্জিত হয় বা ব্যর্থ হয়, তখন আরেকবার চেষ্টা করি, অথবা, ভিন্ন কোন লক্ষ্য স্থির করি। অনেকে হয়ত লক্ষ্য পূরণের পর জীবনটা পুণরায় অর্থহীন হয়ে যাবার ভয়ে ভীত হয়। ফলে তীরের কাছে থেকে ফিরে আসে তাদের কেউ কেউ।

তিনি আরও বলেন, বেঁচে থাকার একটি উদ্দেশ্য থাকাটা জরুরী আমাদের কাছে, গল্পের মহল্লাবাসীদের মতো, আবদুল করিমের মতো। মৃত্যু চিহ্নিত এই পৃথিবীতে চরম উদ্দেশ্যহীনতার মাঝেও বেঁচে থাকার এক আহ্বান এই নাটক।


নাটকের নির্যাসঃ

ভূতের গলির আইএ পাশ বেকার ছেলে আবদুল করিমের কর্মহীন জীবন একসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় ভূতের গলি, মৈশুন্দি ও আশেপাশের মহল্লার লোকেদের কাছে। তারা জানতে পারে যে, কখনো মহল্লার বাইরে না যাওয়া আবদুল করিম, শেফালী নামক এক নারীর আমন্ত্রণে ময়মনসিং বেড়াতে যাচ্ছে। বিষয়টিতে মহল্লার লোকেরা চিন্তিত, বিস্মিত ও উত্তেজিত হয়, তারা বলে যে, করিম তাদের সাথে মশকরা করে এবং একদিন করিম ঠিকই ময়মনসিং যাত্রা করে, কিন্তু কোন এক কারনে সে, শেফালীদের বাড়ির কাছ থেকে ফিরে চলে আসে।

একই দিনে, দেবাশীষ কুমার দে প্রশান্তের নির্দেশনায় শংকর কুমার বিশ্বাস রচিত নাটক ‘খারিজ’ নাটমণ্ডল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে।এর আগে, ২১ মার্চ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - ১৫তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যৎসব ২০২১’ শুরু হয়, যা চলবে ১লা এপ্রিল পর্যন্ত।

১২ দিন ব্যাপি এই উৎসবে বিভাগের শিক্ষকদের ২টি ও স্নাতকোত্তর প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় ৭টিসহ মোট ৯ টি নাটক প্রদর্শীত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ