গবেষণা প্রকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যয় দেখলে লজ্জা লাগে: শিক্ষামন্ত্রী
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৫৩ PM
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা অনেক বড় বড় প্রকল্প দেখতে পাই। শত শত নয় হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু এগুলো দেখে মাঝে মাঝে লজ্জা পেতে হয়। কারণ এই সব প্রকল্পে গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরির বিরাট কোন অংশ থাকে না; গ্রন্থাগারের কোন অংশ থাকে না। অধিকাংশ প্রকল্পেই থাকে ইট-বালুর বড় বড় দালান।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগে ‘‘অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী শিল্প রসায়ন ল্যাবরেটরি’’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে এইচএসসির ফল
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করা দরকার জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছে অধিকাংশ দেশে সেইরকম জনসংখ্যা নেই। এই বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে-এটা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত কিনা। আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করছি কিনা। আজ থেকে ১০০ বছর আগে যেটা প্রাসঙ্গিক ছিল এখন সেটা প্রাসঙ্গিক আছে কিনা সে নিয়ে আমাদের ভেবে দেখা দরকার। চাহিদার সঙ্গে মানানসই শিক্ষা আছে কিনা সেটা দেখা দরকার।
দীপু মনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞান চর্চা খুবই জরুরী। কিন্তু, আমাদের এই জ্ঞানচর্চা সীমিত হয়ে যাবে তা যদি সমাজের মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগাতে না পারি।যার ফলে জ্ঞানচর্চার প্রসার ঘটবে না। এর সুফল মানুষের কাছে পৌঁছাবে না।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন, ফের বন্ধ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন নিয়ে দীপু মনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যত বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে আমরা তত বেশি খুশি হব। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনেক বেশি সরকারের উপর নির্ভর করতে হয়। সেই নির্ভরতা যেমন আছে অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন তাদের স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকে।
উল্লেখ্য, গবেষণাকে আরো যুগোপযোগী করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর নামে এই ল্যাবরেটরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।এই ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছে সাবেক এই উপাচার্যের পরিবারের সদস্যরা।