ঢাবির বাজেটের আকার কমলেও বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২১, ০৪:০৪ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২১, ০৪:০৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বার্ষিক বাজেটে প্রতিবছরই আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি করা হলেও এবার সে ধারাবাহিকতা ভেঙেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গত অর্থবছরে গবেষণায় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে ১১ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। সেখানে এ বছর মূল বাজেট কমেছে। এই ১১ কোটির মধ্যে ৯ কোটি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
মূল বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। গত অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল মূল বাজেটের ১.২৩%, সেটি এবার বৃদ্ধি পেয়ে মূল বাজেটের ১.৩২% করা হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে মোট ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার মধ্যে গবেষণাগারের সরঞ্জামাদির জন্য ৬ কোটি ৫ লাখ, শিক্ষা ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ে ৫ কোটি, বিভাগীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ২ কোটি, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয়ের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের গবেষণা ভাতা ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সোমবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিন্ডিকেটের সভায় ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট সিনেট সভায় উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বাজেট অধিবেশনে প্রথমবারের মতো এ বাজেট উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেট আগামী ২৪ জুন তারিখে সিনেট সভায় উপস্থাপনের অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেট সভায় পেশ করেন। সভায় এই বাজেট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয় এবং উক্ত বাজেট সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
তথ্য মতে, ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। পরবর্তী প্রতিটি অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ বাড়তে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৯৬ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৬৪ কোটি টাকা, সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। গত অর্থবছরের বাজেট আগের সব রেকর্ড ভাঙলেও এবারের বাজেট কমে করা হয়েছে ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এবারের বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ৬৯৬ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের প্রায় ৮৩ শতাংশ।
বাজেট বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার জন্য ইউজিসিতে আমরা আবেদন করলেও কোনো বরাদ্দ দেয়নি। এর জন্য আমাদের নিজেদের থেকে খরচ করতে হবে। কেননা ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারি না। হলে, বিভাগে সব জায়গায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।