ঢাবিতে নন-ফিকশন বই মেলা শুরু
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ PM
বণিক বার্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী অষ্টম নন-ফিকশন বইমেলা। ২৮, ২৯, ও ৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। এই মেলায় ৩৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এ মেলা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাহমুদ ওসমান ইমাম, বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া সহ বিভিন্ন প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, ২০১৫ সাল থেকে বণিক বার্তা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে এই মেলা। এই মেলার উদ্দেশ্য অর্থনীতিসহ গবেষণাধর্মী বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে পাঠক ও শিক্ষার্থীদের আগ্ৰহী করে তোলা। এ বছর দুটি বইকে ‘নন -ফিকশন গ্রন্থ সম্মাননা ২০২৪’ সম্মাননা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৩ দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আট বছর ধরে এই ধরনের মেলা চালিয়ে যাওয়া এটা একটা বড় অর্জন। এ জন্য বণিক বার্তা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদকে ধন্যবাদ জানাই। বর্তমানে এই ধরনের উদ্যোগ খুব কমই দেখা যায়। পাঠকের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে এমন আয়োজন খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার হচ্ছে প্রকাশনা ব্যবস্থা থেকে রাজনীতি , গ্ৰুপিং এসব বিষয় বাইরে থাকবে। সেই সাথে আমাদের এই আয়োজনকে মনিটরিং করতে হবে যেন পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু করা যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া বলেন, জ্ঞানের চর্চা যদি সীমিত হয়ে যায় তবে দেশের উন্নতি সম্ভব না। যে দেশে যত জ্ঞানের চর্চা হবে সে দেশ তত এগিয়ে যাবে। জাপানের এই উন্নতির পেছনে রয়েছে তাদের জ্ঞানের চর্চা। তাই বাংলাদেশে এই চর্চা চালাতে পারলে বাংলাদেশেরও আরও উন্নতি হবে।