শিশির ভট্টাচার্য্যোর ক্লাস বর্জনের ঘোষণা ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ড. শিশির ভট্টাচার্য্যে ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিবৃতি
ড. শিশির ভট্টাচার্য্যে ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিবৃতি  © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও শিক্ষক প্রফেসর ড. শিশির ভট্টাচার্য্যের ধর্মীয় অবমাননামূলক ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।  

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে মো. তাহমিদ মুবিন রাতুল নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে একটি বিবৃতি শেয়ার করে এ তথ্য জানান। বিবৃতি শেয়ার করে ইনস্টিটিউটের ওই শিক্ষার্থী জানান, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীবিরোধী আচরণ করার জন্যে ফরাসী ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে আগেই উনার ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো

বিবৃতিতে  বলা হয়, ড. শিশির ভট্টাচার্য্য তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চেতনার পরিপন্থী কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগও রয়েছে।  

শিক্ষার্থীদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার ও ফ্যাসিবাদ সমর্থিত বক্তব্য প্রচার করেন। এছাড়া বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যুতে তার মন্তব্য রাষ্ট্রীয় সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার জন্য যথেষ্ট ছিল।  

শিক্ষার্থীরা জানান, একজন সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে ড. শিশির ভট্টাচার্য্যের এ ধরনের সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তারা আজকের দিন থেকে তার অধীনে সব ধরণের ক্লাস, কোর্স এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।  

একইসাথে, তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, দ্রুততার সঙ্গে ড. শিশির ভট্টাচার্য্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  

শিক্ষার্থীদের এই সিদ্ধান্ত আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসহ গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে। 

এর আগে, গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সিরিয়ায় দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অধ্যাপক। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আসাদও পালালো?’ প্রশ্ন শুনে এক আরবি বন্ধু বললো: ‘অবাক হচ্ছো কেন, পালানোতো সুন্নত (আরব দেশে মহাপুরুষদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত)!’। 

তার প্রতিবাদে, ঢাবির শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি ওই স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তাদের দাবি, শিশির ভট্টাচার্যের শিক্ষক পদ বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও অধ্যাপক শিশিরকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের মুখোমুখি করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।


সর্বশেষ সংবাদ