স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনা, ব্যাখ্যা দিয়ে যা বললেন শিশির ভট্টাচার্য

অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য ও ঢাবির লোগো
অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য ও ঢাবির লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্যের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পলায়ন নিয়ে দেওয়া তার স্ট্যাটাসে নবীজী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর হিজরতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।

এই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ঢাবির শিক্ষার্থী এবং নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অনেকে এটিকে নবীজী (সা.)-এর হিজরতের সঙ্গে বাশার আল-আসাদের পলায়নের তুলনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন এবং এটিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে দাবি করেন।  

সমালোচনার মুখে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নেওয়ার পর অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মহাপুরুষ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁকে কোনো প্রকার অসম্মান করে আমি কিছু লিখিনি। সুন্নাহ শব্দটা আরবি ভাষা সমাজে অনুসরণীয় নীতি বোঝায় বলে আমি জানি। আত্মরক্ষার্থে স্থানত্যাগ বা জন্মভূমি ত্যাগ শুধু আরবে নয়, সব দেশেই রয়েছে—এটাই বলতে চেয়েছি। আমার পোস্টে নবীজীর নাম তো নেই। তাহলে আমি কেন একজন মহাপুরুষকে অসম্মান করতে যাবো?

তিনি আরও বলেন, ইসলামবিরোধী কোনো কিছু আমি কখনও লিখিনি। আমার বিভিন্ন লেখায় নবীজী (সা.) এবং ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যাবে। আমার একটি বই রয়েছে, ঈশ্বর-ধর্ম-বিশ্বাস, যা দেখলেই বোঝা যাবে আমি ধর্ম বা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমার পোস্টে কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কারও মনে আঘাত দেওয়া কখনও আমার উদ্দেশ্য ছিল না।

এদিকে, ঢাবির শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি ওই স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তাদের দাবি, শিশির ভট্টাচার্যের শিক্ষক পদ বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও অধ্যাপক শিশিরকে চাকরিচ্যুত করে বিচারের মুখোমুখি করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।


সর্বশেষ সংবাদ