চবি ছাত্রলীগের ৬ নেতাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

অভিযুক্ত চবি ছাত্রলীগের ৬ জন নেতা
অভিযুক্ত চবি ছাত্রলীগের ৬ জন নেতা  © সংগ্রহীত

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাসহ আনুমানিক ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় এ মামলা করেন। 

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী ও ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের অনুসারী মো. শরিফ উদ্দিন (৩০), লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিক্সটি নাইনের অনুসারী সাইদুল ইসলাম সাইদ (২৬), সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৬), ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিজয় গ্রুপের অনুসারী এইচটি ইমাম (২৪), লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, বিজয় গ্রুপের অনুসারী জজ মিয়া ওরফে মাজহারুল ইসলাম (২৫), আইন বিভাগের বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী ইয়াসিন আরাফাত (২৭)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আমি (বাদী) সহ আমার অন্যান্য সহযোদ্ধারা ক্যাম্পাসে সমন্বয়কের সাথে মিটিং, সমাবেশ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ জুলাই (রোববার) রাত আনুমানিক ১১টা ১০ মিনিটের সময় জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় আমি ও আমার অন্যান্য সহযোদ্ধারা মিছিলে জড়ো হয়ে "চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার" শ্লোগান দিচ্ছিলাম। ওই সময় বর্ণিত বিবাদীগণসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জন রাত সাড়ে ১১টার দিকে দলবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় আমরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে বদিউজ্জামান ফারুক

বিষয়টি জানতে চাইলে, মামলার বাদী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, গত ১৪ জুলাই চবির জিরো পয়েন্ট এলাকায় আমাদের উপর  চার থেকে পাঁচটি ককটেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং তাদের দোসররা। আমরা চাই এসব অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার হোক। এই লক্ষ্যে আজ হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করি। 

তিনি আরো বলেন, বিবাদীদের ঠিকানা সংগ্রহ করতে ব্যস্থ থাকায় এজাহার করতে বিলম্ব হয়। 

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান,  মামলার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তাছাড়া তিনি বাইরে অবস্থান করছেন। 


সর্বশেষ সংবাদ