সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৪ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৪ PM
সাংবাদিকদের উপর হামলার বিচার ও মুক্ত সাংবাদিকতার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সাংবাদিকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবী জানান।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা মুখে কালো টেপ ব্যাবহার করেন। এসময় তারা ‘স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা’, ‘সাগর-রুনি হত্যার বিচার করতে হবে’ এবং ‘জার্নালিজম ইজ নট ক্রাইম’ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
প্রতিবাদ সভায় শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে হবে। আসিফ হিমাদ্রিসহ, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর সকল হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় কোনো সাংবাদিককে যেন হামলা বা হয়রানির শিকার না হতে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরী সাংবাদিক হয়রানির বিচার হয় না উল্লেখ করে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কাজ করা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’ তিনি আরও বলেন, ‘গত এক থেকে দুই দশকে মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, আমি বলব সেটি একটি দুষ্টুচক্রের ভেতর পড়ে গেছে।
অধ্যাপক সাইফুল আরও যোগ করেন, ‘সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, হয়রানির শিকার হচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবাদ হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা হয়, তবে মামলা হলে তদন্ত হয় না, তদন্ত হলে বিচার হয় না, বিচারের নির্দেশ আসলেও আসামিরা শেষ পর্যন্ত শাস্তিটা পায় না। যার ফলে যেটি হয় যে, এটি একটি দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়েছে। যার সুযোগে দুষ্ট লোকেরা সাংবাদিকদের ওপর তাদের নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।’
প্রসঙ্গত, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় প্রথম আলোর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আসিফ হিমাদ্রি সোমবার রাতে আনসারদের আক্রমণের শিকার হন। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তার উপর আক্রমণ করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসা পেতে দেরি হওয়ায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডাক্তাররা তাকে আশংকা মুক্ত জানালে, তিনি এক পরিচিত লোকের বাসায় যান।