সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে ৫ হত্যা মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৩ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০ PM
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে ৫টি হত্যা মামলা হয়েছে। আজ সোমবার বিয়ানীবাজার থানায় দুটি হত্যা মামলা দায়েরের কথা জানায় পুলিশ।
অপরদিকে গোলাপগঞ্জ থানায় আজ ও গতকাল রবিবার পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে একই থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহমদ ও গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ আসনের পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রী এবং দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
জানা গেছে, একটি মামলা দায়ের করেছেন গোলাপগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে নিহত ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল ইসলামের (২৪) স্ত্রী খাদিজা মাহিরুল। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে। একই মামলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ মোট ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলাও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করেন ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের নিহত মিনহাজ (২৩) এর বড় ভাই সাঈদ আলম। এই মামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলসহ মোট ৫৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
একই থানায় গত ২৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গৌছ উদ্দিন হত্যার ঘটনায় তার ভাতিজা রেজাউল করিম আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলাও সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে বিয়ানীবাজার থানায় গত ৫ আগস্ট সংঘর্ষে নিহত ময়নুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন বেগম বাদী হয়ে একটি এবং অপর নিহত রায়হান উদ্দিনের ভাই বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক হত্যা মামলা দায়ের করেন। দু’টি মামলাই রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি।