১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৭

দলীয় পরিচয় নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হলেন স্বায়ত্তশাসিত চার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও অধ্যাপক মো. আবু তাহের (বাম দিক থেকে)  © সম্পাদিত

ছয় দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন দেশের চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। এর মধ্যে সবার আগে পদত্যাগ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। বুধবার (৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও দেশের উচ্চশিক্ষালয়গুলোর আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ই-মেইল-যোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর সর্বশেষ আজ সোমবার (১২ আগস্ট) দায়িত্ব নেওয়ার ৫ মাসের মধ্যে পদত্যাগ করলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের

এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি রাবির ঊর্ধ্বতন ২৯ প্রশাসক ও কর্মকর্তাকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পদত্যাগ করেন। এরপর শনিবার (১০ আগস্ট) পদত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। একই সময়ে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৭ হলের প্রাধ্যক্ষও। 

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নিয়োগ পান এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। দলীয় সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত এসব উপাচার্যরা ক্ষমতাসীনদের দাপটে ‘পাওয়ার প্র‌্যাক্টিসের’ সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলেন বলে অভিমত দেশের উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। এছাড়াও দলীয় ক্ষমতায় উৎসারিত এবং অনেকটা প্রভাবিত হওয়ার কারণেই সরকার পতনের সাথে সাথেই দেশের সর্বোচ্চ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদের চলে যেতে হচ্ছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। স্বায়ত্তশাসিত এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখনও চলছে পদত্যাগের হিড়িক।

আরও পড়ুন: ছাত্রদল নেতাদের নেতৃত্বে ইউজিসিতে ‘ক্যু’, সচিবকে অপসারণ: ফেরানো হয়েছে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িতদেরও

এর আগে বিগত ৫ আগস্ট দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। দেশ থেকে বিমান যোগে পালিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তার পতনের পর ভেঙ্গে পড়ে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা। একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন আওয়ামীপন্থীরা। এর মধ্যে—কেউ কেউ পালিয়ে রয়েছেন এবং পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ঢাবি উপাচার্য:
চরম আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ড. কামাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নিজের চেয়ার বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে সংকটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এর আগে ‘সাময়িকভাবে’ নিয়োগ পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যাপক কামাল গত বছরের ৪ নভেম্বর তার দায়িত্ব বুঝে নেন। উপাচার্যের দায়িত্বে তিনি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হন।

আরও পড়ুন: প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে রাবি ভিসিসহ ২৯ জনের পদত্যাগ

এর পূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

এর আগে অধ্যাপক কামাল ২০০০সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। একই বিভাগে ২০১০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানে (স্পারসো) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদে প্রায় ছয় বছর কাজ করেন। 

দলীয় সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত এসব উপাচার্যরা ক্ষমতাসীনদের দাপটে ‘পাওয়ার প্র‌্যাক্টিসের’ সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলেন বলে অভিমত দেশের উচ্চশিক্ষা সংশ্লিষ্টদের। এছাড়াও দলীয় ক্ষমতায় উৎসারিত এবং অনেকটা প্রভাবিত হওয়ার কারণেই এমন হয়েছে বলেও মত তাদের।

তিনি ১৯৮২ সালে এসএসসি ও ১৯৮৪ সালে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ থেকে ১৯৮৮ সালে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালে তিনি জাপানের টোকিও ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (টিটিটি) থেকে ভূমিকম্প-বিষয়ক প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশি-বিদেশি জার্নালে তাঁর ৬৫টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: দায়িত্ব নেওয়ার ৫ মাসের মধ্যে পদত্যাগ করলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চার মেয়াদে সভাপতি ও তিন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিন মেয়াদে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামালের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। তাঁর অগ্রজ সদ্য প্রয়াত এ কে এম শাহজাহান কামাল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

জাবি উপাচার্য:
অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ১৯৮০ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯২ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
 
কর্মজীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও অর্থ কমিটির সদস্য, গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন, মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। 

আরও পড়ুন: জাবি উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন

২০১৮ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নিযুক্ত হন। ২০২২ সালের ১ মার্চ তৎকালীন উপাচার্য ফারজানা ইসলামের মেয়াদ পূর্ণ হলে ২ মার্চ থেকে তিনি উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল এক আদেশে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং একই দিন অপরাহ্নে তিনি উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি স্থায়ী নিয়োগ পান।

চবি উপাচার্য:
উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার ৫ মাসের মধ্যে পদত্যাগ করা অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ছিলেন উচ্চশিক্ষালয়টির ১৯তম শীর্ষ নির্বাহী। এর আগে তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ছিলেন।

২০২০ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসিতে ডেপুটেশনে যোগদানের পূর্বে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লিয়েনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

এছাড়াও তিনি জীবন বীমা কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালনসহ পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের পড়ালেখার হাতেখড়ি বাবুনগর প্রাইমারী স্কুলে। এরপর তিনি কাঞ্চনা হাইস্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইনহা বিশ্ববিদ্যালয় (দক্ষিণ কোরিয়া) ও টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ে (যুক্তরাষ্ট) পড়াশোনা করেছেন। তিনি অনার্স (১৯৮২) ও মাস্টার্স (১৯৮৩) উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

এর আগে বিগত ৫ আগস্ট দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। দেশ থেকে বিমান যোগে পালিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তার পতনের পর ভেঙ্গে পড়ে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা।

কর্মজীবনের শুরুতে অধ্যাপক আবু তাহের ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। পরে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা: গণতন্ত্রের আইকন যেভাবে একনায়ক

দীর্ঘ কমর্জীবনে তিনি সফলতার সাথে অধ্যাপনাসহ গবেষণায় সুখ্যাতি অর্জন করেন। তার রচিত ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক ১৭টি বই অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত। দেশে বিদেশে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ১০৭-এর অধিক। এমফিল/পিএইচডি গবেষণা সম্পন্নকারী ২৫ জন গবেষকের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক/কনভেনর/থিসিস এক্সামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যা আজো অব্যাহত আছে। বর্তমানে অধ্যাপক তাহের এর সাইটেশনের সংখ্যা ৩০০-এর অধিক।

“মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা” ও “শিল্প সম্পর্ক” বিষয়ক শিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে তার খ্যাতি আছে। ভিজিটিং অধ্যাপক/এডজান্ট প্যাকাল্টি/রিসার্চ ফেলো/অতিথি বক্তা হিসেবে দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন। 

আরও পড়ুন: ভারতকে যে চরম উভয় সঙ্কটে ফেলেছে শেখ হাসিনা

অধ্যাপনা ছাড়াও তিনি বিশ্বব্যাংক, আইএলও, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কমনওয়েলথ অব লার্নিং, ইউজিসি, ইউএনডিপি, এটুআই, পরিকল্পনা কমিশন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, এসএসআরসি সংস্থায় কনসালটেন্ট/প্রকল্প পরিচালক/ সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার/ ট্রেইনি ভেরিফায়ার/ গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।

রাবি উপাচার্য:
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে বিগত ২০২১ সালের ২৯ শে আগস্ট উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এর আগে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতি হন। এ ছাড়া, তিনি তিন বার প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলেন।

এর আগে একই বছরের ৬ মে নিয়োগসহ নানা কারণে বহুল আলোচিত-সমালোচিত ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষ হলে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে শূন্য থাকে রাবি ভিসির পদ। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের অনুমোদনক্রমে অধ্যাপক অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১১ (২) ধারা অনুযায়ী তাঁকে নিয়োগ দেন।