ঢাবির হলে শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ সাবেক শিক্ষার্থীর, তদন্তে কমিটি

ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হল
ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হল  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্ত কিমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুজ্জামান মুন্নার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, স্যার এ এফ রহমান হলের মসজিদের ইমাম বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় ঠিকমতো নামাজ পড়াতে পারেন না। এ জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিয়মিত নামাজ পড়ান। এরইমধ্যে মনিরুজ্জামান মুন্নার সঙ্গে ইমামতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ছাত্রত্ব না থাকলেও তিনি হলে থেকে বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনে প্রভাব বিস্তার করে আছেন বলেও অভিযোগ তাদের। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এক যুগেরও বেশি সময় হলে অবস্থান করে ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি-সেক্রেটারি নির্ধারণ করা, বহিস্কৃত ছাত্রকে ডিবেটিং ক্লাবের পদে রাখা, হলের রাজনৈতিক ও অভ্যন্তরীন সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ সবকিছুতে প্রভাব রয়েছে তার। এরই মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বক্তব্য দেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মাসুম বাকি বিল্লাহ নামাজের সময় বিলম্বিত হচ্ছে দেখে তাকে কথা বলতে বারণ করেন। এ সময় মুন্নাসহ ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাকে কটু কথা বলেন এবং হুমকি দেন। পরে হলের প্রভোস্টের সঙ্গেও খারাপ আচরণের অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে স্যার এফ রহমান হলের হাউজ টিউটর ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বাকি বিল্লাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিদায় নেওয়ার আগে মনিরুজ্জামান মুন্না মসজিদে বক্তব্য দিচ্ছিল। নামাজের সময় বিলম্বিত হওয়ায় তাকে দ্রুত শেষ করতে বললে সে চোখ রাঙিয়ে উচ্চস্বরে কথা বলে। সে সময় তার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে বলে, ‘আপনি মনিরুজ্জামান মুন্নাকে চেনেন? সে কে!’ এ কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। পরে বিষয়টি হলের প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।

আরো পড়ুন: সর্বজনীন পেনশনে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা ঢাবি শিক্ষক সমিতির

ছাত্রত্ব শেষ হওয়া সত্বেও হলে অবস্থান এবং শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান মুন্না দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি শুধু হলে থাকি ইমামতি করার জন্য। দীর্ঘদিন আমি এ দায়িত্বে আছি। কেউ কোনদিন বাজে কথা বলেনি। কিন্তু কি কারণে আমার হল ছাড়ার নির্দেশ দিল, এটা আমার বোধগম্য নয়। মুসল্লিদের সামনে বিদায়ী বক্তব্য দেওয়ার সময় মাসুম বাকি বিল্লাহ স্যার আমাকে কথা বলতে বাধা দেন। তবে আমি দুর্ব্যবহার করিনি।

স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. রফিকুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম আজমের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।


সর্বশেষ সংবাদ