‘উন্নতির জন্য বায়োটেকনোলজি প্রয়োগে অগ্রগামী হতে হবে’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বিশ্বের উন্নতির জন্য বায়োটেকনোলজি প্রয়োগে অগ্রগামী হতে শিক্ষক-গবেষকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের পরিবর্তনের প্রতিনিধি হতে হবে, টেকসই অনুশীলনের প্রবক্তা হতে হবে। তিনি সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত উদ্দীপনা অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োগের আহবান জানান।

রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিন আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নে বায়োটেকনোলজি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান হয। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে লিখিত বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির পক্ষে লিখিত বার্তা পড়ে শোনান সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিজিই ডিসিপ্লিন প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ জুলফিকার হোসেন।

উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে গবেষক, নীতিনির্ধারক এবং শিল্প নেতাদের মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা জটিল এবং বহু-স্তরবিশিষ্ট, যার জন্য আন্তঃবিভাগীয় সমাধান প্রয়োজন। একসাথে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবেলায় বায়োটেকনোলজির পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারি।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনে গবেষকরা যে পেপার ও পোস্টার উপস্থাপন করেছেন, তা দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। এখানে আলোচনা ও উপস্থাপনাগুলোর মাধ্যমে আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ গঠনে বায়োটেকনোলজির প্রধান ভূমিকার কথা উঠে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করায় বিজিই ডিসিপ্লিনসহ আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আরো পড়ুন: ‘কৌশলে’ বিকাশ দোকানির টাকা আত্মসাৎ, হাতনাতে ধরা ছাত্রলীগ নেতা

উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের এখন টেকসই উন্নয়নের দিকে যাত্রা চলছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের আরও টেকসই এবং সমৃদ্ধ বিশ্বের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আসুন আমরা জ্ঞান, সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মশাল বহন করি। একসাথে আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে জৈবপ্রযুক্তিগত উদ্ভাবন হবে সমগ্র মানবতার জন্য। তিনি এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী, গবেষক এবং পেশাদারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এসময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষকসহ অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-গবেষক ও বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।

দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি ছয়টি সায়েন্টিফিক সেশনে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি সেশনে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত বক্তা পৃথক পৃথক রিসোর্স পার্সন হিসেবে তাঁদের গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিজিই ডিসিপ্লিন প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ জুলফিকার হোসেন অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। এছাড়া সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকলকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

সম্মেলনে কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন এবং ভারতের গবেষকগণ সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনে প্রায় ১৭৫ জন শিক্ষক, গবেষক ও বিজ্ঞানী গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন।


সর্বশেষ সংবাদ