গাছে পেরেক ঠুকানো থেকে বিরত থাকতে রাবি প্রশাসনের মাইকিং
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৫ PM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩২ PM
ক্যাম্পাসের গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো থেকে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলকে বিরত থাকতে মাইকিং করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মাইকিং করতে দেখা গেছে।
মাইকিং করে বলা হয়, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো থেকে বিরত থাকতে সকল শিক্ষার্থীকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। বিকল্প হিসেবে দড়ি টানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরেজমিন দেখে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, কাজলা গেট, প্যারিস রোড, টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেট, হলগুলোর সামনে, বিনোদপুর ও রেলস্টেশনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে ঝুলানো হয়েছে ছাত্রলীগের নির্বাচনী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণার অসংখ্য সাইনবোর্ড-ব্যানার লাগানো হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২৬তম শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা তাদের নির্বাচনী ব্যানার-পোস্টার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গাছে পেরেক ঠুকে লাগাতে দেখা যায়।
ফলে একদিকে যেমন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে গাছগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি অনেকেই ক্যাম্পাসের গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার-পোস্টার লাগাচ্ছে। যারা লাগিয়েছে তাদেরকে ডেকে দ্রুত ব্যানার-পোস্টার তুলে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের মতো গাছেরও জীবন আছে। ফলে গাছে পেরেক ঠুকলে গাছের আয়ু কমে যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করতে প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গাছে পেরেক ঠুকে বিভিন্ন কাজের প্রচারণা চালানো যেন দীর্ঘদিনের রীতিতে পরিণত হয়ে আসছে রাবি ক্যাম্পাসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৫ নভেম্বর 'পেরেকে জর্জরিত রাবির হাজারো গাছ, কমছে আয়ু' শিরোনামে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল 'দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস'-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রশাসনের চোখে পড়ে। ফলে পরিবেশের বন্ধুকে বাঁচাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছগুলো থেকে সরানো হয়েছিল সকল ব্যানার-ফেস্টুন।