কথা রাখলেন চবি উপাচার্য, খুলে দেওয়া হলো বঙ্গমাতা হল

বঙ্গমাতা উদ্বোধন করছেন উপাচার্য
বঙ্গমাতা উদ্বোধন করছেন উপাচার্য   © টিডিসি ফটো

উদ্বোধনের প্রায় দুই বছর পর অবশেষে খুললো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এ হল খুলে দেওয়া হয়

গত ৩০ জুলাই সিনেট অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে ৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের জন্য হলটি খুলে দেওয়ার কথা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে উপাচার্যের এমন ঘোষণায় ক্যাম্পাস জুড়ে আলোচনা শুরু হয়। হল খোলার বিষয়ে খুব একটা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না শিক্ষার্থীরা। তবে কথা রেখেছেন তিনি।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং কাজ শেষ হয় ২০২১ সালের আগস্টে। একই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে হলের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে উদ্বোধনের পরেও দীর্ঘদিন হলটি অজানা কারণে বন্ধ ছিল।  মেয়েদের জন্য নির্মিত  এই হলে ৩১২ জন ছাত্রীর আবাসন সুবিধা রয়েছে।

হল খুলে দেওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক নাসিমা পারভীনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন চবির পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। সভাপতিত্ব করেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ।

অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের তুলনায় হলের আসন সংখ্যা অনেক সীমিত। আমাদের মেয়েরা বিভিন্ন হলে অনেক কষ্ট করছে। প্রায় রুমেই এক সিটে দুইজন থাকে। এতদিন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল লোকবল সংকটে অনেক চেষ্টা করেও চালু করতে পারিনি। এখনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হয়নি। প্রভোস্ট ছাড়া বাকি সবাই অন্য হলের। তবে যেহেতু হল খুলে দিয়েছি, আশা করছি ছাত্রীদের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে।

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা এই শান্তি নিয়েই সর্বদা থাকতে চাই। এই হলে সব আবাসিক শিক্ষার্থী যেন ভালোভাবে থাকতে পারে সেজন্য কাজ করবো। হলটিতে ৬০ শতাংশ সিট আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে। তাদের সিট দেওয়ার পরে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে বাকি ৪০ শতাংশ সিট সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ