বাংলা বর্ষবরণে প্রস্তুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি'।
মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি'।   © টিডিসি ফটো

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হবে। এবার নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পহেলা বৈশাখে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রকাশনা উৎসবসহ নানা আয়োজন রয়েছে অনুষ্ঠানমালায়। 

জানা গেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি'। শোভাযাত্রাটি সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। পাখির প্রতিকৃতি তুলে ধরা হবে শোভাযাত্রায়। এছাড়াও বড় আকারের ফুল, মৌমাছি, পাতা ছাড়াও বাঘ ও পেঁচার মুখোশ স্থান পাবে। মঙ্গল শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দিবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। 

শান্তির প্রতীক হিসাবে ‘সাদা পায়রা’ এবং সম্প্রীতির প্রতীক হিসাবে ‘লক্ষী প্যাঁচা’র  মুখোশ তৈরিতে  শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। ছবি : দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের  কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম এ অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় নানা আয়োজন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে নাটক মঞ্চায়ন করবেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নিচতলায় ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হবে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যবসায়ী সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এতে অংশগ্রহণ করবেন। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি আসফিকুল ইসলাম আশিক বলেন, বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী এ অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের জন্য প্রেরণা। ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের এ ঐতিহ্য মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আমাদের সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের বর্তমান কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা আশাকরি আগামী ১৩ এপ্রিল এর মধ্যে সকল কাজ সম্পূর্ণ হবে। 

চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘শান্তি ও সম্প্রীতি' তাই আমরা শান্তির প্রতীক হিসাবে ‘সাদা পায়রা’ এবং সম্প্রীতির প্রতীক হিসাবে ‘লক্ষী প্যাঁচা’র অবয়ব তৈরিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের মুখোশ তৈরি করছি যেগুলো মঙ্গল শোভাযাত্রায় উপস্থাপন করা হবে। আমাদের সকল অবয়বের মূল কাঠামো গুলোর কাজ শেষ, শুধু রঙের কাজ বাকি। আশা করি আমরা অতিদ্রুত কাজ শেষ করতে পারবো।


সর্বশেষ সংবাদ