থমথমে রাবি ক্যাম্পাসে চলছে যানবাহন, হলে শিক্ষার্থীরা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৭ AM , আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৫ PM
স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর তৃতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল থেকে কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে ক্যাম্পাসজুড়ে। শিক্ষার্থীরা হলেই অবস্থান করছেন। চলছে যানবাহনও।
ক্যাম্পাসের ভেতর ও রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও যান চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র ছিল ফাঁকা।
সরেজমিনে ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে তালা মারলেও পরে খুলে দেন। এর আগে অনশনরত শিক্ষার্থীরাও অনশন ভঙ্গ করেছে। কোথাও কোনও আন্দোলন কর্মসূচি নেই।
বাস-ট্রাকের মতো বড় যানবাহন বিকল্প পথে রাজশাহী বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। যান চলাচল যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য বিনোদপুর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এর আগে রোববার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের রেললাইন আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ফলে রাজশাহী রেল স্টেশনের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছাড়া বাকি সব জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিলো প্রায় চার ঘণ্টা। পরে রাত ২টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিন রাত ৮ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চারজন নারী শিক্ষার্থীও ছিল। পরে প্রশাসন এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে অনশন স্থগিত করায়।
রোববার দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অগ্নিসংযোগ, ইট ও গাছের গুঁড়ি রেখে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তারা সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সরে গিয়ে চারুকলা অনুষদসংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ব্যানার, টায়ার, পাখির অবয়ব (ডামি) পুড়িয়ে দেয়।
গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক বন্ধ থাকায় বন্ধ ছিল যান চলাচল। তবে বিকল্প পথে চালেছে গাড়ি। নাটোরের দিক থেকে আসা যানবাহন শহরে প্রবেশ করতে বুধপাড়া ফ্লাইওভার হয়ে ঢুকেছে। আর বাজারের দিক থেকে কাটাখালীর দিকে আসা ছোট যানবাহন ফুলতলা বালুরঘাট হয় যায়। বাসগুলো সিরইল বাস স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ভদ্রা মোড় দিয়ে নতুন বাইপাস হয় নাটোরের দিকে গিয়েছিল।