হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন ঢাবি, রানার্সআপ বুয়েট

ঢাবিতে দ্বিতীয় কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে
ঢাবিতে দ্বিতীয় কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কোড সামুরাই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা-২০২২-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ডিইউ মাউন্টেইন ডিউ’। এতে প্রথম রানার্স আপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দল ‘বুয়েট স্ট্রমস এনড’। দ্বিতীয় রানার্সআপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিইউ হ্যাকার’ দল।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সিএসই বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমান, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার মাচিদা তাতসুইয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকা’র চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইচিগুচি তমোহিদি, জেট্রো-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইউযি অ্যান্ডো এবং জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটি'র সভাপতি মি. মাসাতো ওয়াতানাবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ও সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের জন্য জাপানকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও বিশ্বস্ত বন্ধুপ্রতিম দেশ উল্লেখ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে এই প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি নির্ভর ও দক্ষ সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রযুক্তিখাতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও জাতির চাহিদা পূরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগকে সফল করার জন্য তিনি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন: মাইগ্রেশন নিয়ে গুচ্ছের আগের সিদ্ধান্তই বহাল

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশ ও প্রসারে এবং সৃষ্টিশীল উদ্ভাবনে কাজ করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের সাথে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী তরুণ শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অনেক উপকৃত ও অনুপ্রাণিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এবং আইটি বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ৫০টি দল অংশ নেয়


সর্বশেষ সংবাদ