ললিপপ হাতে জাবি শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার সেলফি, ক্যাম্পাসে পোস্টারিং

ললিপপ হাতে মাহমুদুর রহমান জনির উরুতে অনিকা বুশরা বৈচির সেলফি
ললিপপ হাতে মাহমুদুর রহমান জনির উরুতে অনিকা বুশরা বৈচির সেলফি  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অফিসকক্ষের এক শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে। ছবিতে পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক আনিকা বুশরা বৈচিকে দেখা যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়েল সর্বশেষ সিন্ডিকেটে আনিকা বুশরা বৈচির নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। এই নিয়োগে তদবির করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্বরত।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও মুরাদ চত্বর এলাকার বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টারিং করা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে উল্লেখ করা আছে, ‘এভাবেই ললিপপের ভেলকিতে শিক্ষিকা হলেন অনিকা বুশরা বৈচি।’

ছবিতে দেখা যায়, ‘অফিস কক্ষে ললিপপ হাতে মাহমুদুর রহমান জনির উরুতে বসে সেলফি তুলছে অনিকা বুশরা বৈচি।’

আরও পড়ুন: বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি কমাতে উদ্যোগ নেবে জাবি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘মাহমুদুর রহমান জনি ২০১২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়। পরে প্রভাব খাটিয়ে ২০১৮ সালে পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। বর্তমানে জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষকদের সাথে চলাফেরা করেন। এভাবে দুইজন ছাত্রীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে জনি। এর মধ্যে একজন হচ্ছে আনিকা বুশরা।

এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ছবিটি বিভাগের অফিসকক্ষে তোলা হয়। আমি একসময় ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। তখন অনেকেই আমার সাথে সেলফি তুলতো। এটি সেরকমই একটি সেলফি। একটা সাধারণ সেলফিকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ কাজটি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বৈচি আমার বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আমি যখন শিক্ষক হই তখন তারা থিসিসের স্টুডেন্ট। তাই এই ব্যাচটার সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো। বিভাগের সবার সাথে যখন সার্ক ট্যুরে গিয়েছিলাম তখন আরও ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।

নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জনি বলেন, বৈচি তার যোগ্যতার কারনেই নিয়োগ পেয়েছে। এক্ষেত্রে আমার কোনো ধরনের কোনো প্রভাব নেই। যা নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলেই জানা যাবে।

আনিকা বুসরা বৈচি বলেন, ‘আমি যোগ্যতার কারণে নিয়োগ পেয়েছি। ছবিটি অনেক পুরোনো। যারাই এটি ছড়িয়েছে তারা আমার সাথে অন্যায় করেছে। বিভাগের শিক্ষক হতে না পারার কারণে এটা কেউ করে থাকতে পারে।

জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যঅলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পোস্টারের বিষয়টি আমি জেনেছি। তবে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে আমার জানা নেই। নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা রেজাল্টকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেই। এক্ষেত্রে কারও সুপারিশের সুযোগ নেই।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence