এখনো শরীরে ব্যথা সেই হাসনাত আবদুল্লাহ’র
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২২ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধে আট দাবি নিয়ে আমরণ অনশন করা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার পিঠে ও পায়ে এখনও ব্যথা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসকরা এবং প্রক্টরিয়াল টিম নিয়মিত তার খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলেন জানিয়েছেন তিনি।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, অনশন করার সময় আমার বা পা একটু অবশ হয়েছিল। সে ব্যথাটা এখনও আছে। তাছাড়া পিঠে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছি। নিয়মিত ডাক্তার আসছে এবং প্রক্টরিয়াল টিম এসে খোঁজ খবর নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, আমি আজকে রাতটা এখানে থেকে কাল হলে যাব।
উল্লেখ্য, ২১ সেপ্টেম্বর প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর হাসনাত আব্দুল্লাহকে পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতক করুন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক জটিলতা বন্ধে হাসনাত আবদুল্লাহর আট দফা দাবি হলো:
১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।
২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।
৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।
৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।
৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।
৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত না থাকা।
৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচন-কালীন প্রচার পরিবেশ-বান্ধব করা।
এসব দাবির পক্ষে হাসনাত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেন। রেজিস্টার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দেন শিক্ষার্থীরা।