আলোচনায় নেই ছাত্রলীগের কক্ষ দখল, শিক্ষার্থী-নির্যাতন ইস্যু

ঢাবি
ঢাবি   © টিডিসি ফটো

হলের আবাসিক শিক্ষক ও প্রাধ্যক্ষদের সঙ্গে যৌথ সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এ সভা।

সভায় ঢাবি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের জন্য হলের পানি, খাবারের গুণগত মান ও শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে (মানসিক স্বাস্থ্যসেবা) বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে সভায় হলগুলোয় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র-সংগঠন ছাত্রলীগের কক্ষ দখল-নিয়ন্ত্রণ ও গেস্ট-রুমে শিক্ষার্থী নির্যাতন নিয়ে কোনো আলোচনাই করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ সভা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সম্প্রতি পাঁচটি ছাত্রী হলের নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন ছাত্রলীগের নেত্রীরা। এছাড়া হলে খাবারের নিম্নমান, অব্যবস্থাপনাসহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন করেন ছাত্রীদের আরেকটি অংশ।

সভায় অংশ নিয়েছেন এমন কয়েকজন প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, ‘সভায় হলে পানির ব্যবস্থা, সংস্কারকাজ, ম্যাগাজিন প্রকাশ, উন্নয়নমূলক নানা কর্মকাণ্ড, ক্যানটিনের ব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেট সেবাসহ নানা বিষয়ের চিত্র উঠে আসে। তবে কারও আলোচনায় হলগুলোয় ছাত্রলীগের কক্ষ দখল-নিয়ন্ত্রণ, গণরুম-গেস্ট রুমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, জোর করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসেনি।’

সভায় ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘তারা হলের পানি, খাবারের গুণগত মান ও কাউন্সেলিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। যেহেতু সীমাবদ্ধতা অনেক, তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকবে। সীমাবদ্ধতা নিয়েই কাজ করতে হবে। তাত্ত্বিকদের কথা শুনলে হবে না। বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে।’

আরও পড়ুন : কৃষিগুচ্ছে ২৮৯ ভর্তিচ্ছুর পাস নম্বরেই ভর্তির সুযোগ!

আখতারুজ্জামান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নানা খবর আসছে। খবর দেখে ভেবেছেন, তারা ঝিমিয়ে পড়লেন কি না। মূলত সে কারণেই এই সভার আয়োজন। তাদের সময়ে (ছাত্রজীবনে) তারা দেখতেন, হল প্রশাসনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায়ই সভা করত। তিন যুগ ধরে এমন কোনো সভা হয়নি। তারা আবার শুরু করলেন। এখন থেকে নিয়মিত এমন সভার আয়োজন হবে।’

উপাচার্য বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষকেরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লকের শিক্ষার্থীদের কাছে যাবেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করবেন। এতে তারা তাদের শ্রদ্ধার স্থান অর্জন করতে পারবেন। একজন শিক্ষক তখনই নৈতিকভাবে শক্তিশালী হন, যখন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার মিথস্ক্রিয়া হয়। এটি অনেক বড় জায়গা। এই সংযোগ তৈরি করতে পারলে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে শুরু করবেন। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের কক্ষে চলে যাবেন। শিক্ষার্থীরাও খুশি হবেন। শিক্ষকও পরিস্থিতি জানতে পারবেন।’


সর্বশেষ সংবাদ