বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হলে অন্তত একডোজ টিকা নিতে হবে
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৫০ PM , আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩৫ PM
দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্ববরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাসের টিকার রেজিস্ট্রেশন শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় খোলার শর্ত হিসেবে শিক্ষার্থীদের করোনার অন্তত একডোজ টিকা নিতে হবে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং উপাচার্যদের মধ্যে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কথা হয় ইউজিসির তিন সদস্যের সাথে। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অন্যতম শর্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অন্তত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে যে, তারা এখন ক্যাম্পাস খুলতে চান কি না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আজকের বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বরের পর শিক্ষার্থীরা আর টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। টিকা দেওয়ার জন্য সংশ্লিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা বুথ স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজের সব ছাত্রছাত্রীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তারা জন্ম সনদের মাধ্যমে টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
সূত্র জানায়, যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ বানাবে ইউজিসি। এই অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জন্ম সনদের নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রশন করবেন। এরপর রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেই তালিকা সুরক্ষা অ্যাপে অন্তর্ভুক্তির পর ছাত্রছাত্রীরা টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, যে সকল ছাত্রছাত্রীর এনআইডি নেই তারা জন্ম নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এজন্য আমরা একটি অ্যাপ বানাবো। আশা করছি আগামী বৃহস্পতিবারের (১৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যে অ্যাপ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হলেও বন্ধই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে।