মন্ত্রী হচ্ছেন ইউজিসি সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দের বাবা নারায়ণ চন্দ

ছবিতে বামে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডানে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ
ছবিতে বামে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডানে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দের বাবা নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ফের মন্ত্রী হচ্ছেন। নতুন মন্ত্রীসভায় শপথের আমন্ত্রণ পাওয়া পূর্ণ মন্ত্রীর ২৫ জনের তালিকায় তার নাম রয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এরপরই জানা যাবে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন খুলনা-৫ আসনে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এ শিক্ষক।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। তিনি বলেন, ‘বাবা আজ শপথ নেবেন। শপথের পর কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জানা যাবে।’

নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার উলা গ্রামের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দের মেঝ ছেলে। ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা ছিলেন স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দ। উলাগ্রামের পাঠশালায় তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু। বান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৬১ সালে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক্যুলেশন পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৬৭ সালে একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাস্টার্সের ফল প্রকাশের আগেই নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে এই স্কুল থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়। ১৯৭৩ সালের ৭ মে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৪ সালে তাঁর প্রচেষ্টায় ডুমুরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়। ১৯৭২ সালে তিনি বিএড পাস করেন। তিনি ২০০৫ সালের ১১ মার্চ শিক্ষকতা থেকে অবসর নেন। তার স্ত্রী উষা রানী চন্দও স্কুল শিক্ষক। তার বড় ছেলে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য।


সর্বশেষ সংবাদ