ইউজিসি সদস্য হতে আগ্রহী ৩০ অধ্যাপক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ১০:২৪ AM , আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩, ১২:০৬ PM
আগামী ১১ জুন দায়িত্ব শেষ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগমের। মেয়াদ পূর্ণ হতে যাওয়া এই সদস্যের জায়গায় নিয়োগ পেতে জোর তদবির চলছে। কমিশনে আসতে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও প্রভাবশালী ৩০ অধ্যাপক।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্টের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম এবং অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ জুন। আর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৫ জুন। এই তিন সদস্যের মধ্যে অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে দ্বিতীয় মেয়াদে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে অধ্যাপক দিল আফরোজার নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কেননা তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তৃতীয় মেয়াদে তার নিয়োগ হচ্ছে না এটি প্রায়ি নিশ্চিত। দিল আফরোজার পরিবর্তে নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউজিসির সদস্য হতে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন অনেকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন অধ্যাপক। এ ছড়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কয়েকজন উপাচার্য তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন অধ্যাপকের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। জীবনবৃত্তান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এটি যাচাই করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জীবনবৃত্তান্তগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগ পেতে আগ্রহী শিক্ষকরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জমা দেন। প্রাপ্ত জীবনবৃত্তান্তগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে একটি শর্ট লিস্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সেই তালিকা যাচাই-বাছাই, গোয়েন্দা প্রতিবেদন, শিক্ষকতা জীবনে তিনি কোন মতাদর্শের ছিলেন, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, সততা— এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ে পাঠান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আবার তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে।
ইউজিসিতে নতুন সদস্য নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আবু ইউসুফ মিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইউজিসিতে সদস্য নিয়োগের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী দেখেন। ইতোমধ্যে দুইজন সদস্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আরেক সদস্য কে হবেন সে বিষয়ে আমরা এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।