জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ইউজিসির গোলাম দস্তগীর

মো. গোলাম দস্তগীর
মো. গোলাম দস্তগীর   © টিডিসি ফটো

জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মো. গোলাম দস্তগীর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে ইউজিসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০২২-২৩)’র জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনা মোতাবেক সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও এপিএ সংক্রান্ত কাজে উদ্বুদ্ধকরণের নিমিত্তে এ পুরস্কার পেলেন তিনি। 

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশিকা মোতাবেক তিনটি ক্যাটাগরিতে তিন জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। গ্রেড ২য় থেকে ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে পান সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর। 

তিনি ২০১০ সালের ১ মার্চে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনে যোগদান করে। বর্তমানে সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ইন্সপেকশন ও মনিটরিং শাখায় কর্মরত রয়েছেন। 

তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ থেকে এপ্লাইড ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট (এমএসিপিএম) এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে। 

আরও পড়ুন: এমপিও আপিল নিষ্পত্তির তালিকা শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে

কমিশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ), পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন ও যাচাই-বাছাই কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা কমিশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে ১০০ নম্বরের বাধ্যতামূক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস নামের ২টি পুস্তকের কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছে, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও ইউজিসি স্বর্ণপদক প্রদান কমিটিতে দায়িত্বপালন করেছে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক একটি ডকুমেট্রি তৈরি সংক্রান্ত কমিটিতে দায়িত্বপালন করেছে। এছাড়াও সরকার ও কমিশনের অসংখ্য উল্লেখ্যযোগ্য কাজের সাথে তিনি সম্পৃক্ত থেকে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। 

গোলাম দস্তগীর এক সময়ে চরফ্যাশনে সাংবাদিকতা করতেন। তৃণমূল সাংবাদিকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাস লাইন মিডিয়া সেন্টারে কাজ করেছে, দক্ষিন আইচা থানা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিল। তাঁর অসাধারণ স্বকীয় কন্ঠে এবং ক্ষুরধার লেখনিতে ঝরে দেশ ও সমাজের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা আর শোষন-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুতীব্র প্রতিবাদ। গভীর বিশ্বাস থেকেই দস্তগীর জানেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কিভাবে দু:সময় থেকে সুসময়ে পৌঁছে যাওয়া যায়। দ্বীপের রাণী ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর আইচা গ্রামের একটি সাধারণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।বাবা বীর মুক্তি যোদ্ধা মরহুম কাজী কাঞ্চন আহমেদ এবং মমতাময়ী মা নুরজাহান বেগমের অকৃত্রিম ভালোবাসাকে অবলম্বন করে প্রতিকূল পরিবেশে বেড়েবর্তে উঠে, শিখে নেয় জীবন সংগ্রামের অফুরান পাঠ। 


সর্বশেষ সংবাদ