১০০ টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ স্থাপনে ব্যয় ফের বাড়ছে

১০০ টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ স্থাপনে ব্যয় ফের বাড়ছে
১০০ টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ স্থাপনে ব্যয় ফের বাড়ছে  © সংগৃহীত

যুব সমাজকে নিয়োগযোগ্য দক্ষ মানবশক্তিতে রূপান্তর করতে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ‘‘১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন’’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০১৬ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এটি এখনো সংশোধনীতেই রয়েছে।

প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জানুয়ারীতে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। যার বাস্তবায়ন কাল ছিল জানুয়ারী ২০১৪ হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত। প্রকল্পটির শুরুতেই ভূমির মূল্য বৃদ্ধি, গণপূর্ত বিভাগের রেট সিডিউল পরিবর্তন, শিক্ষা কার্যক্রম উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত উন্নীতকরণ, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী পাঠদান করার জন্য স্কুলের স্পেস বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে সংশোধনের প্রয়োজন হয়।

জানা গেছে, প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৯২৪ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

এরপর বিশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে আবারও ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এবার ১৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাড়িয়ে দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ৫২০ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ বিলম্বঃ বিভিন্ন জটিলতায় ২০১৪ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের প্রধান অঙ্গ ভূমি অধিগ্রহণ এবং নির্মাণে কোনো অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। অতঃপর ২০১৭ সাল হতে ২০১৯ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ ভূমির অধিগ্রহণ অর্থাৎ ৯৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের (টিএসসি) ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন: বন্ধ হলো কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স

এছাড়া সীমানা নির্ধারণে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা, নির্বাচিত নিচু জমির উন্নয়ন, অধিকাংশ ভূমিতে প্রি-কাস্ট পাইলিং, পানি জমে থাকায় সয়েল টেস্ট করতে বিলম্ব ইত্যাদি জটিলতায় নির্মাণকাজ শুরু করতে স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক সময় ব্যয় হয়েছে।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে অনাবাসিক ভবন খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, কয়েকটি টিএসসির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিলম্ব, সময়োপযোগী ট্রেডের সংযোজনের জন্য আধুনিক প্রকৌশল যন্ত্রপাতি সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আরও কিছু খাতের ব্যয় হ্রাস বৃদ্ধিসহ কোভিড-১৯ মহামারির উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়ায় অবশিষ্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ৩ বছর বৃদ্ধিসহ প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনের প্রয়োজন আছে।


সর্বশেষ সংবাদ