শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, সরকারকে ঢাবি সাদা দলের শিক্ষকরা

  © সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাদা দল সমর্থক শিক্ষকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জন সমন্বয়কারীকে ডিবি হেফাজতে নেয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

আজ রবিবার এক বিবৃতিতে আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে সরকার যে বলপ্রয়োগ এবং ভিন্নতম দলনের পন্থা অবলম্বন করছে তা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের কোনরূপ হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জন সমন্বয়কারীসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে অসম্মানজনক বক্তব্য প্রদান এবং আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র আক্রমণ আন্দোলনকে সহিংস করে তোলে। 

“এতে বিপুল প্রাণহাণীসহ জনসম্পত্তিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তবে আমরা লক্ষ্য করছি যে, এ সব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই শিক্ষার্থীসহ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক মতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নিরাপত্তা দেয়ার অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জন সমন্বয়কারীকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে সরকার যে বলপ্রয়োগ এবং ভিন্নতম দলনের পন্থা অবলম্বন করছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।”

বিবৃতিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জন সমন্বয়কারীকে অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, একইসঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার না করে সাম্প্রতিক আন্দোলনে সকল প্রাণহাণী ও জনসম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনার নির্মোহ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।


সর্বশেষ সংবাদ