ক্লাসে ফিরছেন না শিক্ষকরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

আন্দোলনরত শিক্ষকরা
আন্দোলনরত শিক্ষকরা  © ফাইল ছবি

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ চান জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখান থেকে এসে সেগুনবাগিচার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিটিএ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এসময় শিক্ষক আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবো না।

তিনি বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৫ মিনিট সাক্ষাৎ চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে উনার সঙ্গে কথা বলবো। উনি আমাদের যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটা আমরা মেনে নেবো।

অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সাথের এ বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট না। সেখানে আমাদের ডেকে নেওয়া হয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে বৈঠক করা হবে এ মর্মে। কিন্তু, সেখানকার সব চেয়ারে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নামের একটি সংগঠন সব চেয়ার দখল করে রাখে আগে থেকেই। এছাড়াও সেখানে আমাদের ককোনো কথা শোনা হয়নি; শুধুমাত্র স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ নামের ওই সংগঠনই সেখানে কথা বলার সুযোগ পায়।

তিনি বলেন, সভায় শিক্ষামন্ত্রীর বিভিন্ন বিষয়েও আমরা কষ্ট পেয়েছি। সেখানে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন এবং দাবির বিষয়ে কথা বলার থাকলেও তিনি তা না বলে শিক্ষায় সরকারের বিভিন্ন গৃহীত পদক্ষেপের কথা বলেন। তবে, তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য দুটি কমিটি করার কথা বলেছেন—যা আমাদের বিজয়; কিন্তু, এটি আমাদের চূড়ান্ত বিজয় নয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমরা দেখা না করে ঘরে ফিরে যাবো না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক; আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ মিনিট সময় চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সময় না দিবেন আমরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাব না। আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে না বসবেন, যত প্রকার পুলিশি নির্যাতন করা হোক, রক্ত ঝরুক, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।

প্রসঙ্গত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে চলমান আন্দোলন গড়ায় নবম দিনে। বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে এই আন্দোলনের অংশ নিয়েছেন সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকরা। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিশিক্ষকরা বলছেন—দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ