শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে ঢাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাদের কর্মসূচি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৫ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩০ PM
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলার ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। এসময় অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রত্যাহার করার দাবি জানান তারা। আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিস্থ সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী সদস্য জাফর ইকবাল মুন্না, বাংলাদেশ আ. লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ফয়জুল্লাহ মানিক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য রাসেল মিজি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য তাহেরুল ইসলাম তাহের সহ আরো অনেকে।
কর্মসূচিতে পল্লবী থানার অর্গানাইজেশন সেক্রেটারি জি এম শাহজাহান বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ সমস্ত ঘটনার সাথে তারা একেবারেই সম্পৃক্ত না। তিনি একজন সৎ ও নির্ভীক মানুষ। পুরো চাঁদপুর জেলায় উনার আত্মীয় স্বজন রয়েছে। আর পরিবারের কেউ সম্পৃক্ত হলে তার বিচার হবে এখানে মন্ত্রীকে কেন নিয়ে আসছে। তার বাবা ওয়াদুদ একজন ভাষাবীর ছিলেন।
ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন বলেন, দীপু মনিকে নিয়ে আপনাদের মিথ্যাচার বন্ধ করুন এবং সত্যটা প্রকাশ করুন। শিষ্টাচার অনুযায়ী রাজনীতি করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে ও আগামী দিনে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসতে ওনার পাশে থাকতে হবে আমাদের।
যুবলীগের নির্বাহী সদস্য জাফর ইকবাল মুন্না বলেন, উনি এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে দল ও সংসদের কাছে যাবেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন আমার বিরুদ্ধে যদি কোন সংসদ সদস্য অভিযোগ করে থাকে তাহলে তার জন্য স্পিকার আছে তার কাছে আমি অভিযোগ করব। তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে এটার জন্য তিনি দলীয়ভাবে আনুষ্ঠানিকভাবেই জানাবেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাসের পর জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে ৬০ একরের বেশি জায়গায় এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রশাসন। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল।
এ ভূমি অধিগ্রহণ নিয়েই জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে শিক্ষামন্ত্রীর পরিবার ও ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ ওঠে।এতে প্রস্তাবিত জমির দাম কয়েকগুণ বেশি দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে কয়েকশ’ কোটি টাকা বাড়তি আদায়ে ‘কারসাজির’ অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে।