দেশে শিক্ষিত বেকার বেড়েছে কয়েকগুণ: ছাত্রমৈত্রী সভাপতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ মে ২০২১, ০৩:০৫ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২১, ০৪:১৪ PM
বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল বলেছেন, প্রায় দেড় বছর থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে, কমছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সও। করোনা মহামারীতে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, অপরদিকে সরকারি নিয়োগ বন্ধ থাকা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘কর্মচারী ছাটাই’ নীতি অনুসরণের ফলে দেশে শিক্ষিত বেকারের কয়েকগুণ বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই অনতিবিলম্বে শিক্ষার চলমান অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও শিক্ষাব্যবস্থাকে গতিশীল করতে এই শিক্ষাখাতেই ন্যুনতম ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে। একইসাথে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বাজেটে বরাদ্দ ও প্রণোদনা রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
আজ শনিবার (২৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষাখাতেই ২৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলোর সঞ্চালনায় সংহতি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা মহানগর সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তৌহিদ রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা হাসিদুল ইসলাম ইমরান। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ইয়াতুন্নেসা, সহ-সভাপতি জেসমিন আকতার প্রমুখ।
ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারের বিনিয়োগ করার কথা। কিন্তু আমরা প্রতি অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দের ব্যাপারে উদাসীনতা দেখতে পাই। অতীতে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার সাথে প্রযুক্তিকে জুড়ে দিয়ে অতি চাতুরতার এই খাতে বেশি বরাদ্দ দেখিয়ে আসছে। বিগত দশ বছরে সরকার এইখাতে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ অতিক্রম করতে পারেনি। উপরন্তু কমেছে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাব্যবস্থা যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়ছে তখন তাকে ফেরাতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে ভগ্নাংশের হিসাবে।
সংহতি বক্তব্যে কমরেড আবুল হোসাইন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালেও সরকার বাজেট পেশ করছে, করোনা মোকাবেলায় সরকারকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতকে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রতিবছর শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তার সিংহভাগই ব্যয় হয় পরিচালনা খাতে, উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ থাকে নামমাত্র। সরকারের উচিত পরিচালন ব্যয়ের সমধিক বরাদ্দ শিক্ষার উন্নয়ন খাতের জন্য রাখা। অন্যথায় শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান সংকটের অবসান হবে বলে মনে করি না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শাফিউর রহমান সজীব, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীন আহমেদসহ বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ।