আ.লীগ-ছাত্রলীগের কর্মসূচি হাস্যকর: ছাত্রদল সভাপতি

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব  © সংগৃহীত

ফেব্রুয়ারি মাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ডাকা কর্মসূচি হাস্যকর, তাদের কর্মসূচিকে ছাত্র সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। আমরা বিশ্বাস করি, সাধারণ জনগণ, সাধারণ ছাত্রসমাজ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে সাভারে আশুলিয়ার গণবিদ্যাপীঠ স্কুল মাঠে পাথালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দলের নিয়মবহির্ভূত কাজে লিপ্ত থাকলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। 

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আমাদের যত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রয়েছে, সবার প্রধান দায়িত্ব ছিল ছাত্রলীগ, যারা বিগত সময়ে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপাচার্যরা এই ছাত্রলীগকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারেনি। তারা সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।  তাদের তদন্ত প্রতিবেদন এগুলোও তারা প্রকাশ করছে না। এ ফ্যাসিবাদের দোসর যারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করছে না, এ কারণে এ ধরনের দুঃসাহস দেখায় ছাত্রলীগ। এখন পর্যন্ত সারা দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অবস্থান করে এই ফ্যাসিস্টরা কর্মসূচি দেওয়ার দুঃসাহস দেখায়। আমি আহ্বান জানাচ্ছি নির্দলীয় সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যেন তারা দৃশ্যমানগতভাবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে। এ দেশের জনগণের প্রত্যাশা এবং সাধারণ ছাত্রসমাজ এ প্রত্যাশা রাখে।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এই নির্দলীয় সরকারের যে প্রশাসনিক কাঠামো সেগুলো সত্যিকার অর্থে অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। এখন পর্যন্ত মেরামত হয়নি। সে কারণে তাদেরও দায় নিতে হবে। আমরা এখনো যদি কোনো অভিযোগ পাই প্রথমে কিন্তু পুলিশকে কল দেই।  আমরা বলি, ভাই এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। আপনারা কী পরিমাণ অবগত রয়েছেন! তখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের কাজ করতে অনীহা। এখনো অনেক থানার ওসি রয়েছে, এখনো সাধারণ জনগণের পক্ষে কাজ করতে তাদের অনীহা রয়েছে। তারা এটিকে পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে পালন করছে না। তাদেরও আরও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও সচল রাখতে হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আমরা তাদের সহযোগিতা করব।

আওয়ামী-ছাত্রলীগের কর্মসূচি প্রতিহত করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যেমন গত ১৫ বছরে নির্যাতিত হয়েছি তেমনি পরীক্ষিত ছাত্র নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার অত্যাচার-নির্যাতনসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রাম করেছে তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ নেতৃত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

সম্মেলনে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হক সৌরভ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ