গণহত্যায় জড়িতদের গুলি করে মারা উচিত: নুর 

বক্তব্য রাখছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
বক্তব্য রাখছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর  © টিডিসি ফটো

গণহত্যায় যারা জড়িত ছিল তাদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়িয়ে সরাসরি গুলি করে মেরে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের মূল ফটকে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মী ও ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের ওপর হামলা চালানো ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে এই (কেন্দ্রীয়) লাইব্রেরির সামনে আমাদেরকে ফুটবলের মতো মেরেছিল (ছাত্রলীগ)। সেই সব ছাত্রলীগ নেতা এখনো পুলিশে এসাইয়ের চাকরি করছে। ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ নাকি এখনো লাইব্রেরিতে চাকরি করে।

নূর বলেন, আমরা দেখতে চেয়েছিলাম এই প্রশাসন কী করে। পরিষ্কার কথা চার মাসে সরকারের প্রশাসনের যে কর্মকাণ্ড সেটা খুব সন্তোষজনক না। সেটা বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমার পরামর্শ থাকবে এই ধরনের অভ্যুত্থানের পরে কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিতে হয়। এই ট্রাইব্যুনাল, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার তার দিকে না গিয়ে যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল, ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সরাসরি গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত। কারণ বিচারিক প্রক্রিয়ায় দেশী হস্তক্ষেপ আসবে, বিদেশি হস্তক্ষেপ আসবে, মানবাধিকার কমিশন আসবে, এনজিও আসবে, অনেক ধরনের তৎপরতা (আসবে)। যেগুলো করতে করতে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের সুযোগ পেয়ে যাবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, নিরীহ মানুষ যারা, সাধারণ আওয়ামী লীগের যারা, তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার পক্ষে আমরা। কিন্তু যারা গত ১৬ বছরে ছাত্রদের উপর হামলা করেছে, যারা দানব ছিল তাদেরকে নির্মূল করতে হবে, নিশ্চিহ্ন করতে হবে। না হলে বিপ্লবের সুফল মিলবে না। তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনিয়ম করে যাদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, অবৈধভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে তাদের প্রত্যেককে বহিষ্কার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, এই অভ্যুত্থানের পর কোন প্যানেল ভিত্তিক ডাকসু নির্বাচন করা যাবে না। যাদের যোগ্যতা আছে তারা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে ডাকসুতে নির্বাচনে দাঁড়াবে। প্যানেলের দুই একজনের জনপ্রিয়তার কারণে সবাই ভোট পেয়ে যায়। আর বাকি যারা যোগ্য ছাত্রনেতা তারা নির্বাচিত হয় না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো যে আপনারা প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচনের সুযোগ দিবেন না। তবে তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, ভাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক সানাউল্লাহ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ